দেশত্যাগ

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:১৫ পিএম

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই দেশত্যাগের ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়। তার পদত্যাগের পর, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের ক্ষমতায় থাকার পর এই দেশত্যাগ ভারতের জন্যও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ঘটনার পর, বাংলাদেশের শিক্ষাক্রমেও পরিবর্তন আনা হয় এবং পাঠ্যবইগুলোতে নতুন করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ঘটনা যুক্ত করা হয়। এছাড়াও, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান ও ছাত্র আন্দোলনের প্রসঙ্গ নতুন করে পাঠ্যবইতে যুক্ত করা হয়। তবে অন্যান্য গল্প ও কবিতা বাদ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ঘটনা ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন বিতর্ক ও আলোচনা হয়। এই ঘটনার পর, অনেক মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও দেশ ত্যাগ করেন। ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগের ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও ব্যাখ্যা তলব করে। শেখ হাসিনা ভারতে কোথায় আছেন, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা ছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হয়। তার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর দেশত্যাগের ঘটনায় দেশের অর্থনীতির উপর কি ধরনের প্রভাব পড়বে তা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করা হয়। এই দেশত্যাগের ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের উপর কি প্রভাব পড়বে তা নিয়েও বিশ্লেষকদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। আগামীতে ক্ষমতায় আসা নতুন সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন ছিল। বিএনপি সহ বিরোধী দলের সাথে ভারতের সম্পর্ক ও এই ঘটনার পর আলোচনায় উঠে আসে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন।
  • তার পদত্যাগের পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন।
  • এই ঘটনার পর বাংলাদেশের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আনা হয়।
  • অনেক মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও দেশ ত্যাগ করেন।
  • শেখ হাসিনার অবস্থান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।