ত্রিপুরা

ত্রিপুরা: উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য, ভারতের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য (১০,৪৯১ বর্গকিলোমিটার) এবং জনসংখ্যার দিক থেকে সপ্তম-সর্বনিম্ন জনবহুল রাজ্য (প্রায় ৩৬.৭ লক্ষ)। আসাম, মিজোরাম এবং বাংলাদেশ দ্বারা বেষ্টিত। আগরতলা রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। ১৯টি উপজাতি সম্প্রদায় রয়েছে, অধিকাংশই বাঙালি। বাংলা, ইংরেজি এবং ককবরক সরকারি ভাষা।

ঐতিহাসিক ত্রিপুরা: কয়েক শতাব্দী ধরে মাণিক্য রাজবংশ দ্বারা শাসিত। ব্রিটিশ শাসনকালে রাজকীয় রাজ্যে পরিণত হয় এবং ১৯৪৭ সালে স্বাধীন ভারতে অন্তর্ভুক্ত। ১৯৪৯ সালে ভারতের সাথে একীভূত হয়ে ‘পার্ট সি রাজ্য’ হিসেবে মনোনীত। ১৯৭২ সালে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা লাভ।

ভৌগোলিক ত্রিপুরা: ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন, শুধুমাত্র জাতীয় মহাসড়ক ৮ দেশের বাকি অংশের সাথে যুক্ত। পাঁচটি প্রধান পর্বতশ্রেণী: বারামুরা, আথারমুরা, লংথারাই, শাখান, জাম্পুই। গ্রীষ্মমন্ডলীয় সাভানা জলবায়ু, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু থেকে বৃষ্টিপাত।

জনসংখ্যা ও সংস্কৃতি: ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, সাক্ষরতার হার প্রায় ৮৭.৭৫%। মূলধারার ভারতীয় সংস্কৃতি ও স্থানীয় উপজাতীয় ঐতিহ্যের মিশ্রণ। উনাকোটি, পিলাক, দেবতামুড়া প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। নামকরণের পিছনে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির এবং কিংবদন্তী রাজা ত্রিপুরের সম্ভাব্য সম্পর্ক।

অর্থনীতি: অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সাথে যুক্ত। প্রধান খাদ্য ফসল ধান, তৈলবীজ, ডাল, আলু, আখ। চা ও রাবার গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ফসল। দেশের দ্বিতীয় রাবার রাজধানী (কেরলের পর)। হস্তশিল্পও বিখ্যাত।

প্রশাসন: আটটি জেলা, ২৩টি মহকুমা এবং ৫৮টি উন্নয়ন ব্লক। সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। আইনসভা, বিচারবিভাগ এবং প্রশাসন তিনটি শাখায় বিভক্ত।

মূল তথ্যাবলী:

  • ত্রিপুরা উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি ছোট্ট রাজ্য
  • মাণিক্য রাজবংশের দীর্ঘ ইতিহাস
  • ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন অবস্থান
  • উচ্চ সাক্ষরতা
  • কৃষি ও রাবারের উপর নির্ভরশীল অর্থনীতি