দক্ষিণ কোরিয়া সরকার

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৩ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার, আনুষ্ঠানিকভাবে কোরীয় প্রজাতন্ত্র (대한민국, De-han-min-guk) নামে পরিচিত, একটি প্রধানমন্ত্রীশাসিত বহুদলীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। ১৯৪৮ সালের ১৫ই আগস্টে কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণাংশে জাপানের শাসন থেকে মুক্তির পর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্র ও সরকারের প্রধান। রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ৫ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে ইউন-সক ইয়ল দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত, যদিও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় পরিষদ উভয়ের উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ থেকে স্বাধীন। ১৯৪৮ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানে ৫টি বড় সংশোধনী আনা হয়েছে।

১৯৫০-১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর ধ্বংসপ্রায় দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৯৩ সালে এসে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হয় এবং 'এশিয়ান চার ড্রাগন'-এর মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠে। দেশটির অর্থনীতি রপ্তানি-মুখী, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, উৎকর্ষতা এবং দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তির উপর নির্ভরশীল। স্যামসাং, এলজি, হুন্দাই প্রভৃতি বহুজাতিক কোম্পানি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উদ্ভূত।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের ইতিহাসে বেশ কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থান ও স্বৈরাচারী শাসনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ১৯৮৭ সালের সংবিধান সংশোধনের পর থেকে দেশটি ক্রমশ গণতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। তবুও, দেশটির রাজনীতিতে সম্প্রতি অস্থিরতা বিরাজ করছে, যা সাম্প্রতিককালে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সামরিক আইন জারির চেষ্টা এবং তারপর তার অভিশংসনের চেষ্টার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার দুর্বলতা ও ভারসাম্যহীনতার দিকে ইঙ্গিত করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের নাম কোরীয় প্রজাতন্ত্র (대한민국)
  • এটি একটি প্রধানমন্ত্রীশাসিত বহুদলীয় গণতন্ত্র
  • রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্র ও সরকারের প্রধান
  • ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করে
  • স্যামসাং, এলজি, হুন্দাই এর মতো কোম্পানি দেশটির উল্লেখযোগ্য অর্জন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - দক্ষিণ কোরিয়া সরকার

দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপহার দেওয়া হয়েছে।