কিম কেওন হি

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:৪৭ পিএম

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্ত্রী কিম কেওন হি সম্প্রতি দেশটিতে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে উঠেছে নানা অভিযোগ, যার ফলে প্রেসিডেন্ট ইউনের জনপ্রিয়তাও কমেছে এবং দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে।

কিম কেওন হি একজন উদ্যোগপতি। ২০০৭ সালে তিনি ‘কোভানা কনটেন্ট’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যা সাংস্কৃতিক বিষয়বস্তু তৈরি করে। ২০১২ সালে তিনি ইউন সুক ইওলকে বিয়ে করেন এবং ২০২২ সালে ইউন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি ফার্স্ট লেডি হন।

তবে, কিম কেওন হিকে ঘিরে অসংখ্য বিতর্ক রয়েছে। একটি বিতর্কে তাকে ১.৮ লক্ষ টাকার একটি ‘ক্রিশ্চিয়ান ডিওর’ ব্র্যান্ডের ব্যাগ উপহার হিসেবে গ্রহণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুযায়ী, সরকারি কর্তাদের এবং তাদের স্ত্রীদের ৬৩,০০০ টাকার বেশি মূল্যের উপহার গ্রহণ করা বৈধ নয়। এছাড়াও, কিমের বিরুদ্ধে পিএইচডি থিসিস চুরির অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি স্টক মার্কেটে কারচুপির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

কিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের জের ধরে প্রেসিডেন্ট ইউন ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেন। তবে মাত্র ছয় ঘন্টার মধ্যেই তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। বিরোধী দলের দাবি, সামরিক আইন জারির পিছনে কিম কেওন হিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্য ছিল।

বিরোধী দলের অভিযোগ, সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত সংক্রান্ত বিলটি ১০ ডিসেম্বর সংসদে পুনর্বিবেচনা করা হবে।

কিম কেওন হির বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগ এবং তার প্রভাব প্রেসিডেন্ট ইউনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এই ঘটনার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি এবং আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • কিম কেওন হি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্ত্রী।
  • তিনি একজন উদ্যোগপতি এবং কোভানা কনটেন্ট নামে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।
  • তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, পিএইচডি থিসিস চুরি এবং স্টক মার্কেট কারচুপির অভিযোগ রয়েছে।
  • তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ফলে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে।
  • প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন জারি করেছিলেন কিন্তু পরে তা তুলে নিয়েছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।