বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণদের ভূমিকা অপরিসীম। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তরুণদের নতুন চিন্তাধারা, নীতি প্রণয়নে অংশগ্রহণ এবং রাষ্ট্র সংস্কারে সহায়তার আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির মতামত অনুসারে, তরুণদের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ছাত্র সংসদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং জননীতিতে তাদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন।
বিভিন্ন তরুণ নেতা ও কর্মী তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। মামুন আবদুল্লাহ, উমামা ফাতেমা, নাজিফা জান্নাত প্রমুখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা গণপরিষদ গঠন, সংবিধান সংশোধন, শাসনতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কার এবং রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। আইআইডির সাঈদ আহমেদ জননীতিতে তরুণদের স্থায়ী অংশগ্রহণের জন্য আইনি ব্যবস্থা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির অর্পিতা শ্যামা দেব ও আশরাফ উদ্দিন মাহদি ছাত্র সংসদ নির্বাচন পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তরুণদের রাজনীতিতে আনার পক্ষে মতামত দিয়েছেন।
ইয়ুথ ফর পলিসির সুলতানা মেহজাবীন সাম্য ও সমতার মধ্যে পার্থক্য বুঝে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইয়ুথ ফর পলিসির স্বেচ্ছাসেবক আবদুল্লাহ আল মাসুদ, নিলয় সাহা, নিশাত আনজুম সেমন্তী, আথিনা চাকমা এবং আসিফ ইকবাল জুবায়ের শিক্ষাক্রম সংস্কার, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়ন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন।
তরুণদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সঙ্গত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন সম্ভব বলে মনে করেন বক্তারা। এর জন্য তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, নেতৃত্ব বিকাশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।