টেকনাফ বন্দর

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

টেকনাফ স্থল বন্দর: বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। এটি মিয়ানমারের মংডু বন্দরের সাথে সীমান্ত বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য চালু হওয়ার পর থেকে এ বন্দর দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

ঐতিহাসিক তথ্য: ১৯৯৫ সালে সীমান্ত বাণিজ্যের উদ্যোগের মাধ্যমে টেকনাফ স্থল বন্দরের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছরে এই বন্দর ১০০১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৮৪ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এই বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়, যেমন সিমেন্ট, গেঞ্জি, কাপড়, প্লাস্টিক পাইপ, এ্যালুমিনিয়াম পণ্য ইত্যাদি। আবার মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়, যেমন হিমায়িত মাছ, কাঠ, বরই, তেতুল ইত্যাদি।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব: টেকনাফ বন্দর দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বন্দর দিয়ে অনেক মানুষের রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে সম্প্রতি ইয়াবা চোরাচালান, মুদ্রার মান কমে যাওয়া এবং অন্যান্য কারণে বন্দরের রাজস্ব আয়ের উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে।

ভৌগোলিক অবস্থান: টেকনাফ উপজেলা বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা। উপজেলার আয়তন ৩৮৮.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি ২০°২৩´ থেকে ২১°০৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৫´ থেকে ৯২°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত। বন্দরটি নাফ নদীর তীরে অবস্থিত, যা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্ত।

সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ: টেকনাফ স্থল বন্দরের সামনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ইয়াবা চোরাচালান এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এছাড়া বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের অভাব, পর্যাপ্ত শ্রমিক এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব ইত্যাদি সমস্যা বন্দরের কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতও বাণিজ্যে প্রভাব ফেলেছে।

বর্তমান অবস্থা: মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বন্দরের কার্যক্রম সম্প্রতি অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে, এবং রাজস্ব আয় ও উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। বন্দরের উন্নয়ন ও সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের দ্রুত উদ্যোগ প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • টেকনাফ স্থল বন্দর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত।
  • ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হয়।
  • বন্দরটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ইয়াবা চোরাচালান ও অবকাঠামোগত সমস্যা বন্দরের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে।
  • মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।