জহিরুল আলম: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
বাংলাদেশে ‘জহিরুল আলম’ নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত। এই নামটির সাথে সম্পর্কিত দুইজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলো:
১. লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবু তায়েব মুহাম্মদ জহিরুল আলম:
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল। ১৯৫২ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি জাতিসংঘের ইউএনএমআইএল মিশন ফোর্স কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন এবং বর্তমানে হামদর্দ পাবলিক কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি কিংস কলেজ লন্ডন থেকে ওয়ার স্টাডিজে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজে ডিফেন্স স্টাডিজে পড়াশোনা করেন। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
২. ডক্টর জহিরুল আলম সিদ্দিকী:
তিনি বাংলাদেশের একজন তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষক। তিনি প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্তকরণ ডিভাইস আবিষ্কার করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। তার জন্ম ১৯৭৮ সালে সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার জয়শ্রী গ্রামে। তিনি ১৯৯৩ সালে সিলেটের রেবতি-রমণ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৯৫ সালে এম সি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ২০০১ সালে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভৌত রসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ২০০৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পুসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও অধ্যাপনা করেছেন এবং বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
অন্যান্য জহিরুল আলম: উল্লেখ্য, প্রদত্ত তথ্যে আরো কিছু জহিরুল আলম-এর উল্লেখ আছে, যেমন জাতীয় পার্টির সাথে যুক্ত জহিরুল আলম রুবেল, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত জহিরুল আলম জসিম এবং খিলগাঁও মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজের প্রভাষক জহিরুল আলম। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য অতিরিক্ত তথ্যের প্রয়োজন। আমরা পরবর্তীতে এই তথ্য যুক্ত করব।