ছিদ্দিক: একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ
এই নিবন্ধে ‘ছিদ্দিক’ নামটি দিয়ে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ রয়েছে। স্পষ্টতার জন্য প্রতিটি ‘ছিদ্দিক’-এর বিষয়বস্তু আলাদা আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলো:
১. মাওলানা ছিদ্দিক আহমদ:
বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, বাগ্মী, বিতার্কিক ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন মাওলানা ছিদ্দিক আহমদ (১৯০৩-১৯৮৭)। তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদিস, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের মহাসচিব ছিলেন। ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলা আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তার অসাধারণ বাগ্মিতার জন্য তিনি ‘খতিবে আজম’ উপাধি পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ২২ মাস বিনাবিচারে কারাগারে বন্দী ছিলেন। কারাগারেই তিনি ৮ খণ্ডে ‘শানে নবুয়ত’ রচনা করেন। ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন তিনি। তার জন্ম কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বড়ইতলী গ্রামে। তিনি বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন এবং আঞ্জুমানে তাহাফফুজে ইসলাম নামে একটি ইসলামি গবেষণা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলা ভাষা ও তার সাহিত্যের প্রতি উৎসাহিত করতেন এবং ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার বক্তব্য, লেখনী ও কর্মকাণ্ড সমাজ সংস্কারের লক্ষ্যে ছিল।
২. এম এ এন ছিদ্দিক:
এম এ এন ছিদ্দিক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবও ছিলেন। তার জন্ম ১৯৫৭ সালে ঢাকার নারায়ণগঞ্জের নরসিংদীতে। তিনি ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। ডিএমটিসিএলে তার নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। ২০২৪ সালে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
৩. ছিদ্দিক আলি:
ছিদ্দিক আলি (১৮৮৮-১৯৫৩) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন সংগ্রামী ছিলেন। তিনি অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন। তার জন্ম দৰং জিলাৰ ৰইনাকুছি মৌজাৰ মুছলিমঘোকাত। শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ‘শান্তি সমাচাৰ’ নামক কবিতা পুথি ও অন্যান্য গ্রন্থ রচনা করেছেন।
উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও যদি আরও কোনো তথ্য জানার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাকে আপডেট করে রাখব।