খুরশীদ আলম নামটি একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার সাথে সম্পর্কিত, যার ফলে তাদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা জরুরী। নিম্নে বিভিন্ন খুরশীদ আলম সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য তথ্য দেওয়া হলো:
১. খুরশীদ আলম (কণ্ঠশিল্পী): তিনি একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কণ্ঠশিল্পী। তিনি ‘মানুষের মন’, ‘কি যে করি’ সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রের জন্য কণ্ঠ দান করেছেন। তার অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক লাভ করেন।
২. মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার (বিচারক): বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে আইনে দ্বিতীয় ডিগ্রি লাভ করেন। তার বিচারকালীন কাজের মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় স্থগিতাদেশ জারি, পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করা এবং ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা একটি আবেদন খারিজ করা। তিনি ২০২০ সালে প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং ইভালি ও জুবিলী ব্যাংকের আর্থিক সংকটের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৩. খুরশীদ আলম (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব): তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব এবং রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব:)। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমানার বিরোধ নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০২০ সালে তিনি কূটনৈতিক সাফল্যের জন্য বঙ্গবন্ধু পদক লাভ করেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে তিনি পদত্যাগ করেন।
৪. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম (শল্যচিকিৎসক): একজন বাংলাদেশী শল্যচিকিৎসক যিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের আগস্টে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হয়।
৫. খোরশেদ আলম খাস্তগীর: তিনি পেশাদার কূটনীতিক এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের বিরোধিতার জন্য পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ বাতিল হয়। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার হিসেবে কর্মরত।
উপরোক্ত তথ্যগুলি খুরশীদ আলম নামের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সম্পর্কে। আপনার যদি নির্দিষ্ট কোন খুরশীদ আলমের সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চান, তাহলে দয়া করে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করুন।