ক্রিকেট কোচিং

বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোচিংয়ের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন:

বাংলাদেশ ক্রিকেট দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশি কোচদের উপর নির্ভরশীল ছিল। তবে সম্প্রতি দেশি কোচদের গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের জাতীয় দলে ফিরে আসা এ ব্যাপারে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ১৪ বছর পর তিনি সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তার প্রথম সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। সালাউদ্দিনের মতে, তিনি দেশি কোচদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চান যাতে ভবিষ্যতে আরও দেশি কোচরা জাতীয় দলে সুযোগ পায়।

খালেদ মাহমুদ, একজন অভিজ্ঞ কোচ এবং সাবেক অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ, বিদেশি কোচদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং দেশি কোচদের যথেষ্ট সময় দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তিনি নিজেও জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি ২০১৮ সালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ ছিলেন।

অন্যদিকে, ম্যাথু ওয়েড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার কোচিং স্টাফে যোগ দিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি কোচিং স্টাফে কাজ করবেন। তিনি ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

এছাড়াও, মোহাম্মদ আশরাফুল আইসিসি লেভেল-৩ কোচিং সার্টিফিকেট লাভ করেছেন এবং জাতীয় দলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

ফিল সিমন্সের দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ার ও বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসেবে তাঁর অবদান সম্পর্কেও প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্যভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন সংস্করণের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বিসিবি দেশি কোচদের উপর জোর দিচ্ছে, যা দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক লক্ষণ।

মূল তথ্যাবলী:

  • মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ১৪ বছর পর জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে ফিরে এসেছেন।
  • খালেদ মাহমুদ দেশি কোচদের সমর্থন করেছেন এবং জাতীয় দলে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
  • ম্যাথু ওয়েড অস্ট্রেলিয়ার কোচিং স্টাফে যোগ দিয়েছেন।
  • মোহাম্মদ আশরাফুল আইসিসি লেভেল-৩ কোচিং সার্টিফিকেট পেয়েছেন।
  • বিসিবি দেশি কোচদের গুরুত্ব দিচ্ছে।

গণমাধ্যমে - ক্রিকেট কোচিং

খালেদ মাহমুদ সুজন জাতীয় ক্রিকেট দলে কোচিং করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।