খালেদ মাহমুদ সুজন: বাংলাদেশী ক্রিকেটের এক অবিস্মরণীয় নাম। ২৬ জুলাই ১৯৭১ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী এই মিডিয়াম-পেস বোলার ও মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। ২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি দলের অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার ক্রিকেট জীবনে অলরাউন্ডার দক্ষতার জন্য তিনি ‘যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আশির দশকের শেষভাগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মাধ্যমে ক্রিকেটে পা রাখা সুজন, ২০০০-২০০১ মৌসুমে হালিম শাহ্য়ের সাথে ঢাকা মেট্রোপলিটনের হয়ে জাতীয় লীগে অভিষেক হয়। পরে দুজনেই ঢাকা বিভাগের হয়ে খেলেছেন। হালিম শাহ্ জানতে পেরেছিলেন সুজন তার চাচা, এরপর থেকে তিনি ‘চাচা’ ডাকতে শুরু করেন, যা পরে অন্যান্য ক্রিকেটারদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাওয়ালপুরের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৪৫ রানের ইনিংসে একমাত্র শতক করেন তিনি। এই ইনিংসে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সাথে তিনি ২৬৭ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি বেশি সাফল্য পেয়েছেন বোলিংয়ে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৭ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন। ২০০৩-০৪ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য বোলিং পারফরম্যান্স করেছেন। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন খালেদ মাহমুদ। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী ও প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে বোর্ডের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। তার অবদান বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে স্মরণীয় থাকবে।
খালেদ মাহমুদ
মূল তথ্যাবলী:
- খালেদ মাহমুদ সুজন বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ক্রিকেটার
- তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন
- তিনি ২০০৩-২০০৪ সালে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন
- ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন
- ঘরোয়া ক্রিকেটে একমাত্র শতক করেছেন