এম এ হাকিম নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে, যার ফলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। এই লেখাটিতে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে তিনজন এম এ হাকিম সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।
১. জেনারেল এম এ জি ওসমানী:
মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী (১ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ - ১৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪) বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অমূল্য অবদান রেখেছেন। সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী এ বীর সেনানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে দীর্ঘ সময় কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা অতুলনীয়। তিনি ১১টি সেক্টরে বাংলাদেশকে বিভক্ত করে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন এবং পরবর্তীতে মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন এবং সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজারে সমাহিত হন।
২. বীর প্রতীক মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম:
মোহাম্মদ আবদুল হাকিম (জন্ম ১৯৪৫) স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা হাকিম পাকিস্তান নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তান নৌবাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগদান করেন। নৌকমান্ডো হিসেবে তিনি বীরত্বপূর্ণ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।
৩. চট্টগ্রামের এম এ হাকিম:
একটি সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে চট্টগ্রামের এক এম এ হাকিম (জন্ম ১৮৯৮) যিনি ১১৮ বছর বয়সেও জীবিত ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং গিনেস বুকে নাম উঠার প্রত্যাশা করেছিলেন। তার বিস্তারিত তথ্য লেখায় স্পষ্টভাবে উপস্থাপিত হয়নি।
উপরোক্ত তিনজন ব্যক্তি ছাড়াও আরো অনেক এম এ হাকিম থাকতে পারেন। আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।