আহমেদ হোসেন জনি নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে বলে এই নিবন্ধে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো যাতে বিভ্রান্তি দূর করা যায়।
প্রথম আহমেদ হোসেন জনি:
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের (জন্ম: অজানা) তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। তিনি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার কুসুমপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ঠাকুরগাঁওয়ে বসবাস করতেন। তিনি ইপিআরে চাকরি করতেন এবং ১৯৭১ সালে ঠাকুরগাঁও ইপিআর উইংয়ে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ৬ নম্বর সেক্টরের ভজনপুর সাব-সেক্টরে এবং রানীর বন্দর, চাম্পাতলী, খানসামা, পঞ্চগড়, নুনিয়াপাড়াসহ অন্যান্য স্থানে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি ২৮ জুলাই নুনিয়াপাড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে আহত হন। তিনি ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বোদা-পঞ্চগড় সড়কের পাশে ময়দানদিঘি আক্রমণে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
দ্বিতীয় আহমেদ হোসেন জনি:
আহমেদ হোসেন জনি নামে আরও একজন ব্যক্তির কথা পাওয়া গেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি কবিতা লিখতেন। তবে তার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রাপ্ত হয়নি।
তৃতীয় আহমেদ হোসেন জনি:
দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটী ইউনিয়নে আহমেদ হোসেন জনি (২৩) নামে একজন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় লাউহাটী এম. আজহার মেমোরিয়াল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। ২০২৩ সালের ১৯ জুন বিকেলে উপজেলার লাউহাটি আমিন মার্কেটের সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি গ্রেফতার হলেও বেশ কিছু আসামী এখনও পলাতক রয়েছে। হত্যাকান্ডের পেছনে বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে গোলযোগের কারণ দেখানো হয়।
চতুর্থ আহমেদ হোসেন জনি:
যশোরে কবির হোসেন জনি নামে এক আইনজীবীকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে।
আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরও তথ্য প্রকাশিত হলে এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।