মোহাম্মদ খোরশেদ আলম নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা যায়। এই কারণে নিচে দুটি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলো:
প্রথম মোহাম্মদ খোরশেদ আলম:
এই মোহাম্মদ খোরশেদ আলম (১ জুলাই ১৯৫১ - ২৬ জুন ২০২১) ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ২৯৫। তিনি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল সাদত আলী এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তিনি চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে বসবাস করতেন। ১৯৭১ সালে তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ভারতে নৌ কমান্ডো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অপারেশন জ্যাকপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধের পর তিনি মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে পরে ঠিকাদারি, পোল্ট্রি ও কৃষি ব্যবসায় জড়িত হন। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভোগার পর ২০২১ সালের ২৬ জুন চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন।
দ্বিতীয় মোহাম্মদ খোরশেদ আলম:
এই মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর একজন পেশাদার কূটনীতিক। তিনি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান, কিন্তু ১০ দিন পরই তার নিয়োগ বাতিল হয়। তিনি কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উপহাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর নিয়োগ বাতিলের কারণ হিসেবে মালয়েশিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে প্রতিবাদকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে তাঁর মামলা করা ও 'সন্ত্রাসী' আখ্যা দেয়ার ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বিএফএসএ'র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ফাঁস হওয়া চ্যাটে ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের পাসপোর্ট বাতিলের সুপারিশ করার তথ্যও প্রকাশিত হয়।