আবুল হাসানাত নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করতে পারে। উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, দুটি উল্লেখযোগ্য আবুল হাসানাতের কথা জানা যায়:
১. আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ: একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৪৪ সালের ১০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে তার পিতা, মা, ভাইবোন ও বড় সন্তান নিহত হন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে। তার ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র। হাসানাত আব্দুল্লাহ ১৯৭৩ সালে বরিশাল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং অধুনালুপ্ত বরিশাল পৌরসভারও চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে তিনি বরিশাল-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি নির্বাচনে পরাজিত হন এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেননি। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহবায়ক মনোনীত হন। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, জমি দখল এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে ক্রসফায়ারের নামে একজন ছাত্রদল নেতাকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
২. আবুল হাসানাত মোহাম্মদ আব্দুল হাই: একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি আলেম, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক ও লেখক। তিনি ১৯০১ সালে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ২৯ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য, পূর্ববংগীয় প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য, পূর্ববঙ্গীয় মুসলিম লীগের সভাপতি, পার্লামেন্টারি বোর্ডের চীপ হুইপ এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ‘দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠা করেন।
উপরোক্ত তথ্য ছাড়া আরো তথ্য প্রয়োজন হলে আমরা আপনাকে পরবর্তীতে অবহিত করব।