মনীষা চক্রবর্তী

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০১ এএম

বরিশালের রাজনীতিতে এক নতুন নাম ডা. মনীষা চক্রবর্তী। বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর এই নেত্রী শুধুমাত্র রাজনীতিই করেন না, জনসেবার ক্ষেত্রেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০১৮ সালের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা ছিল অত্যন্ত অনন্য; তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ‘মাটির ব্যাংক’ এর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, তিনি বরিশাল নগরীর প্রান্তিক মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছেন এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও তিন চাকার যান চলাচলের বৈধতা দাবি করে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদের প্রতিবাদে মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। করোনাকালে তিনি চিকিৎসাসেবা, সচেতনতা কার্যক্রম, খাদ্যসহায়তা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহায়তায় ‘ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস’ এবং ‘ফ্রি অক্সিজেন ব্যাংক’ চালু করেন। ‘একমুঠো চাল’ নামে একটি খাদ্য সাহায্য কর্মসূচি এবং ‘মানবতার বাজার’ নামে একটি বিনামূল্যে বাজার চালু করে তিনি নগরবাসীর দুর্দিনে সাহায্য করেছেন। ৩৪তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ পেলেও সরকারি চাকরিতে যোগ না দিয়ে তিনি রাজনীতি ও জনসেবাতেই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। মনীষা চক্রবর্তীর দাদা একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) পক্ষ থেকে প্রার্থী ছিলেন। তবে, বিভিন্ন নির্বাচনী অনিয়মের কথা উল্লেখ করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মনীষা চক্রবর্তীর বরিশালের জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে, বিশেষ করে শ্রমিক ও নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে। তার রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যকলাপ, জনসেবার প্রতি অনন্য সমর্পণ এবং অসাধারণ উদ্যোগগুলো তাকে অনন্য করে তুলেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০১৮ সালের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
  • ‘মাটির ব্যাংক’ এর মাধ্যমে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ
  • প্রান্তিক মানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথে আন্দোলন
  • করোনাকালে চিকিৎসা ও খাদ্য সাহায্য
  • ৩৪তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ, কিন্তু সরকারি চাকরি গ্রহণ করেননি
  • বাসদ-এর নেত্রী
  • বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।