আনিসুল হক চৌধুরী: একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে এই নামটি ব্যবহৃত হওয়ায় কিছু বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। নিম্নলিখিত তথ্যগুলো বিভিন্ন আনিসুল হক চৌধুরীর সম্পর্কে:
প্রথম আনিসুল হক চৌধুরী: (৩১ মে ১৯১৯ - ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯) একজন বাংলাদেশী গীতিকার, কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক ছিলেন। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে তিনি ঢাকা বেতারে জনপ্রিয় গান রচনা করেছিলেন। আব্বাসউদ্দীন আহমদ, আবদুল আলীম, আব্দুল লতিফ প্রমুখ শিল্পী তার লেখা গান গেয়েছেন। তিনি বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ইছাপুর কলেজ ও রাজৈর কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। জীবনের শেষ ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্রে কাটান এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে 'রূপালী নদী রে' এবং 'ভাই রে ভাই, বাংলাদেশে বাঙালি আর নাই'। তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের জন্যও গান রচনা করেছেন। তার লেখা গবেষণাধর্মী বই, গানের বই এবং কবিতার বইও প্রকাশিত হয়েছে।
দ্বিতীয় আনিসুল হক চৌধুরী: (প্রায় ১৯২৬-১১ জানুয়ারি ২০১১) বাংলাদেশের রংপুর জেলার রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি রংপুর-৭ ও রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বদরগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তৃতীয় আনিসুল হক চৌধুরী: দিনাজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৮৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে দিনাজপুর-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
চতুর্থ আনিসুল হক (অন্যান্য তথ্য): ৩০ মার্চ ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহণকারী আওয়ামী লীগের প্রধান সদস্য। তিনি আইন, ন্যায় ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন (২০১৪-৬ আগস্ট ২০২৪)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিংস কলেজ লন্ডন থেকে শিক্ষা লাভ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও জেল হত্যাকাণ্ডের মুখ্য বিশেষ জনাবোক্তা ছিলেন।
উপরোক্ত তথ্যগুলো পর্যাপ্ত না হলে আমরা পরবর্তীতে আরো তথ্য দিয়ে আপডেট করব।