অস্বাস্থ্যকর মাংস বিক্রয়: দেশজুড়ে এক ভয়াবহ বাস্তবতা
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রয়ের ঘটনা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অনৈতিক ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কার্যকলাপের সাথে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা, খানসামা, কালীগঞ্জ এবং অন্যান্য স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রয়ের জন্য বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে এবং জব্দকৃত মাংস নষ্ট করা হয়েছে।
রাজবাড়ীতে অভিযান: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ রাজবাড়ীর পাংশা রেলগেট এলাকায় জাফর খাঁ নামে এক ব্যবসায়ীকে রক্ত মিশ্রিত ও অস্বাস্থ্যকর মাংস বিক্রির অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মো. মাসুদুর রহমান রুবেল এই অভিযান পরিচালনা করেন।
চুয়াডাঙ্গায় অভিযান: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অসুস্থ গাভির মাংস বিক্রির অপরাধে তিন কসাইকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ২ মণের বেশি অস্বাস্থ্যকর মাংস নষ্ট করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সজল আহম্মেদ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
খানসামা ও কালীগঞ্জের অবস্থা: দিনাজপুরের খানসামা ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস বিক্রয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। খানসামার বিভিন্ন বাজারে মুরগির মাংস বিক্রয়ের অনিয়ম দেখা যায়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। কালীগঞ্জে যত্রতত্র ও অস্বাস্থ্যকর স্থানে মাংস বিক্রি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব দেখা দেয়।
অন্যান্য স্থান: বড়লেখা, মৌলভীবাজার, এবং বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জেও অস্বাস্থ্যকর মাংস বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা ও মাংস নষ্ট করার ঘটনা ঘটেছে।
এই সমস্ত ঘটনা দেখে স্পষ্ট হচ্ছে যে অস্বাস্থ্যকর মাংস বিক্রয় এক প্রকট সমস্যা। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই সমস্যা সমাধানে কঠোর কর্তব্য পালন করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত তদারকি অত্যন্ত প্রয়োজন।