ভ্রাম্যমাণ আদালত: দ্রুত বিচারের এক অনন্য ব্যবস্থা
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনসাধারণের সুবিধার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ২০০৭ সালে প্রণীত মোবাইল কোর্ট অধ্যাদেশ (বর্তমানে ২০০৯ সালের মোবাইল কোর্ট আইন) এর মাধ্যমে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। এই আদালতের বিশেষত্ব হলো ঘটনাস্থলেই অপরাধীদের বিচার করে দ্রুত শাস্তি প্রদান করা। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই আদালত পরিচালনা করেন।
- *কিভাবে কাজ করে?**
ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজের ধরণ খুবই সরল। কোনও অপরাধের খবর পেলে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ, প্রমাণাদি পরীক্ষা করে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিচার করেন এবং শাস্তি প্রদান করেন। এটি জনগণের কাছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। তবে, দণ্ডের ক্ষেত্রে দুই বছরের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া যায় না। এই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা উচ্চ আদালতে আপিল করা যায়।
- *ইতিহাস ও গুরুত্ব:**
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সূচনা বাংলাদেশের আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটি জনসাধারণের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, দুর্নীতি দমনে ও সামাজিক অপরাধ রোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে, যানজট, ট্রাফিক লঙ্ঘন, পরিবেশ দূষণ, ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন ইত্যাদি অপরাধের বিরুদ্ধে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
- *উল্লেখযোগ্য দিক:**
- ঘটনাস্থলেই দ্রুত বিচার।
- জনগণের কাছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।
- দুর্নীতি দমনে সহায়তা করে।
- সামাজিক অপরাধ রোধে ভূমিকা পালন করে।
- আপিলের সুযোগ রয়েছে।