মোরেলগঞ্জ: বাগেরহাটের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা
বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা মোরেলগঞ্জ উপজেলা। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা হিসেবে পরিচিত। ২২°২৭′০০″ উত্তর ৮৯°৫১′৩০″ পূর্ব স্থানাংকে অবস্থিত এই উপজেলার আয়তন ৪৩৮ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলা, দক্ষিণে শরণখোলা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, পূর্বে পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানী এবং পশ্চিমে রামপাল ও মোংলা উপজেলা অবস্থিত। মোরেলগঞ্জ উপজেলা ১৬টি ইউনিয়নে বিভক্ত।
ইতিহাস:
ইংরেজ শাসনামলে, ১৭৮১ সালে এখানে প্রথম শাসন কেন্দ্র স্থাপিত হয়। মি: টিলম্যান হেঙ্কেল তখন ম্যাজিষ্ট্রেট ও কালেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৪৯ সালে মোরেল পরিবার পানগুচি ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় সুন্দরবন বন্দোবস্ত নিয়ে বসতি স্থাপন করে নীল চাষ শুরু করে। ক্রমে তাদের নামানুসারেই এ বাজারের নাম হয় মোরেলগঞ্জ। পরে ইংরেজ সরকার এ বাজারকে বন্দর হিসেবে ঘোষণা করে। ১৮৬১ সালে কৃষক নেতা রহিমউল্লাহর নেতৃত্বে কৃষক বিদ্রোহের এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায় এখানে সংঘটিত হয়। মোরেল পরিবারের শাসন ১৮৭৮ সালে শেষ হয়। এখনও ‘কুঠিবাড়ি’ নামে পরিচিত তাদের নীলকুঠি এখানে অবস্থিত। ১৯০৯ সালে মোরেলগঞ্জ থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৫ সালে তা উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩৫ জন নিহত হয়।
জনসংখ্যা ও অর্থনীতি:
বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৩৪৯৫৫১ জন (তথ্যের উৎস প্রয়োজন)। জনসংখ্যার ৩৫.৪৯% কৃষিতে, ৩.৬৫% মৎস্যজীবনে এবং বাকিরা বিভিন্ন পেশায় জড়িত। উল্লেখযোগ্য শিল্পের মধ্যে রয়েছে বরফ কারখানা, ধানকল, কল এবং ঢালাই কারখানা। বাঁশ ও বেতের কুটিরশিল্পও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। মোরেলগঞ্জ বাজার উপজেলার একটি বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র।
শিক্ষা:
মোরেলগঞ্জে ৬টি কলেজ, ৭৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৯১টি মাদ্রাসা রয়েছে।
অন্যান্য তথ্য যোগ করার জন্য আমরা পরবর্তীতে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করব।