অনিরাপদ পরিবেশ

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

ঢাকা শহরে বেসরকারি হোস্টেলের অনিরাপদ পরিবেশ ও আবাসন সংকটের বাস্তবতা তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলের অভাবে বেসরকারি হোস্টেলে থাকতে বাধ্য হচ্ছে, যেখানে অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশ বিরাজমান। মিরপুর, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, সহ বিভিন্ন এলাকায় এই হোস্টেলগুলোতে গাদাগাদি, পর্যাপ্ত জায়গার অভাব, পড়ার পরিবেশের অভাব, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট, মানসম্মত খাবারের অভাব, অতিরিক্ত ভাড়া সহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এই হোস্টেলগুলোতে প্রতিটি কক্ষে তিন-চারজনের বেশি শিক্ষার্থী থাকে। কিছু কিছু হোস্টেল ঘুপচি গলিতে অবস্থিত, দিনের বেলায়ও কক্ষ অন্ধকার থাকে। হোস্টেল মালিকরা প্রায়শই সিটের সংখ্যা ছদ্মবেশ দেয়। মিরপুরের ‘সিটি লেডিস হোস্টেল’, ‘রেনু মহিলা ছাত্রী হোস্টেল’, ‘মোনালিসা মহিলা হোস্টেল’, ‘ব্যতিক্রমী মহিলা হোস্টেল’, ‘ক্ষণিকা মহিলা হোস্টেল’, ফার্মগেটের ‘মা ছাত্রী হোস্টেল’ ও ‘নিবেদিকা ছাত্রী হোস্টেল’ এর উদাহরণ দেওয়া যায়। হোস্টেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং হোস্টেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হোয়াব) নামে দুটি সংগঠন এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তবে তাদের তদারকির কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেই। মহিলা ও শিশু অধিদপ্তরের সীমিত সংখ্যক সরকারি হোস্টেল এই সংকট মেটাতে পর্যাপ্ত নয়। ২০২২ সালে পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ২.৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান থেকে আবাসন সুবিধা পেয়েছেন। এই অনিরাপদ পরিবেশ ও আবাসন সংকটের সমাধানের জন্য সরকারি নীতিমালা ও তদারকির আবশ্যকতা বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ঢাকা শহরে বেসরকারি হোস্টেলের অনিরাপদ পরিবেশ চরম উদ্বেগের।
  • শিক্ষার্থীরা অস্বাস্থ্যকর ও অপ্রতুল আবাসনে থাকতে বাধ্য।
  • গাদাগাদি, অন্ধকার ও অপর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সাধারণ চিত্র।
  • হোস্টেল মালিকদের দায়বদ্ধতা ও তদারকির অভাব উদ্বেগজনক।
  • সরকারি হোস্টেলের সংখ্যা অপ্রতুল এবং সরকারি নীতিমালার অভাব দেখা যাচ্ছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - অনিরাপদ পরিবেশ

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অনিরাপদ পরিবেশ, অতিরিক্ত ভাড়া এবং নীতিমালা ও তদারকির অভাব বিদ্যমান।