ঢাকা শহরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফিফা রহমানের আবাসন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা একটি চিত্র তুলে ধরে রাজধানীর ছাত্রীদের আবাসন সংকটের বাস্তবতা। মিরপুর পল্লবীতে একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে তিনি তার দুই সহপাঠীর সাথে থাকেন। মাসে ১৪ হাজার টাকা ভাড়া ও আনুষাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে তাদের খরচ বহন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হোস্টেল না পাওয়ায় তাদের অনেক হোস্টেলে ঘুরতে হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অতিরিক্ত ভাড়া, গাদাগাদি, এবং অপর্যাপ্ত পড়ার পরিবেশের কারণে তিনি হতাশ হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত বাবার পরিচিত একজন বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ফ্ল্যাট ভাড়া করেন। আফিফার পাশের ফ্ল্যাটগুলোর ভাড়া একই রকম। অনেক বাড়িওয়ালা ফ্ল্যাটগুলো হোস্টেলের মত করে ভাড়া দেয়, যেখানে একটি ১৪ হাজার টাকার ফ্ল্যাটে ১০ জন ছাত্রী থাকলে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। রাজধানীর বিভিন্ন হোস্টেল ঘুরে দেখা যায় যে ছোট ফ্ল্যাটে অনেক ছাত্রীকে গাদাগাদি করে রাখা হয়, পর্যাপ্ত জায়গা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ও পড়ার উপযুক্ত পরিবেশের অভাব রয়েছে। অনেকে তিনটি সিটের জায়গায় চার-পাঁচজন ছাত্রী রাখে। পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংকটও নিত্যদিনের ঘটনা। মানসম্মত খাবারের ও অভাব রয়েছে। সিট হারানোর ভয়ে ছাত্রীরা এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চায় না। মিরপুরের বিভিন্ন হোস্টেলের উদাহরণ দিয়ে লেখায় এই সংকটের চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। রাজধানীতে এই সংকটের কারণে বেসরকারি হোস্টেল বাণিজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর আবাসন চাহিদা এবং সরকারি আবাসন ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে এই স্থিতি উদ্ভূত হয়েছে। হোস্টেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংগঠনের অনুপস্থিতি বা অকার্যকরতার কারণে এই অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। সরকারি নীতিমালা এবং তদারকির অভাব এই সংকটের মূল কারণ।
আফিফা রহমান
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- আফিফা রহমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী
- তিনি মিরপুরে ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকেন
- বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলের অভাব
- বেসরকারি হোস্টেলের ন্যূনতম মান
- রাজধানীতে ছাত্রীদের আবাসন সংকট
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - আফিফা রহমান
আফিফা রহমান নামের এক ছাত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলের অবস্থা বর্ণনা করেন।