রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ একটি জটিল ও বহুমুখী বিষয় যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করে। এটি সাধারণত একটি রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রসমূহের অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার কাজকে বোঝায়। এই হস্তক্ষেপ সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে, অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে অথবা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ঘটতে পারে।
বিভিন্ন সংস্থা, দেশ ও ব্যক্তি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে জড়িত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ঠান্ডা যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য হস্তক্ষেপ করেছে। আধুনিক যুগেও বিশ্বের বড় শক্তিধর দেশগুলি তাদের রাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের জন্য অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে থাকে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও মানবাধিকার রক্ষা বা অর্থনৈতিক উন্নয়নের নামে অন্য রাষ্ট্রের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলাফল সর্বদা অনিশ্চিত। কখনও কখনও এটি কাম্য পরিবর্তন আনে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এটি দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতা, সংঘাত এবং জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, বিদেশী হস্তক্ষেপ প্রায়শই তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয় এবং অপ্রত্যাশিত গোলযোগের জন্ম দেয়। তাই, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের পূর্বে সম্ভাব্য ফলাফল ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরী।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি বিতর্কিত। অনেক অভিযোগ রয়েছে যে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা কঠিন, তবে এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।