ব্যান্ড সংগীত

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:১৭ এএম

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস একটি চমৎকার যাত্রা, যেখানে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত নানা ধারা ও উত্থান-পতন লক্ষ্য করা যায়। আজম খান, যিনি 'পপ সম্রাট' নামেও পরিচিত, তিনি 'উচ্চারণ' ব্যান্ডের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে ব্যান্ড সংগীতের সূচনা করেন। তারপর পর্যায়ক্রমে ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রমুখ শিল্পীরা ব্যান্ড সংগীতের ধারাকে আরও সমৃদ্ধ করেন। ৭০'র দশকে রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যান্ড সংগীতের বিকাশে কিছুটা বাধা সৃষ্টি করে। তবে ৮০ ও ৯০'র দশকে হামিন আহমেদ, সাফিন আহমেদ, আইয়ুব বাচ্চু, জেমস (নগর বাউল), মাকসুদ উল হক (ফিডব্যাক), সুমন (অর্থহীন), এবং অন্যান্য প্রতিভাবান শিল্পীদের অবদানের ফলে ব্যান্ড সংগীত জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বহু নতুন ব্যান্ডের উত্থান ঘটে। এলআরবি, মাইলস, নগর বাউল, ফিডব্যাক, ওয়ারফেইজ, অর্থহীন, শিরোনামহীন, চিরকুট, জলের গান এইসব ব্যান্ড নতুন করে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যান্ড সংগীতের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে, এবং অনেক ব্যান্ড দল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। নারীদের ব্যান্ডেরও উদাহরণ দেখা গেছে, যদিও তা একই সাফল্য পায়নি পুরুষদের ব্যান্ডের মত। ব্যান্ড সংগীতের উত্থান ও বিকাশে কিছু নেতিবাচক সমালোচনা এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবের কথাও বলা হয়, তবে ব্যান্ড সংগীতের নিজস্ব সত্তা ও জনপ্রিয়তা অব্যাহত রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • আজম খান 'উচ্চারণ' ব্যান্ডের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে ব্যান্ড সংগীতের সূচনা করেন।
  • ৮০ ও ৯০ এর দশকে বাংলা ব্যান্ড সংগীত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
  • এলআরবি, মাইলস, নগর বাউল, ফিডব্যাক, ওয়ারফেইজ প্রমুখ ব্যান্ড জনপ্রিয়তা পায়।
  • বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যান্ড সংগীতের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
  • ব্যান্ড সংগীতের উত্থান-পতন ও সমালোচনা সত্ত্বেও তার নিজস্ব সত্তা ও জনপ্রিয়তা অব্যাহত রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।