আর্ক নামটি দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়: একটি বাংলাদেশি রক ব্যান্ড এবং অন্যটি উজবেকিস্তানের বুখারা শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক দুর্গ।
আর্ক (বাংলাদেশি ব্যান্ড):
১৯৯১ সালে ঢাকায় আশিকুজ্জামান টুলু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, আর্ক বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় রক ব্যান্ড। প্রাথমিক সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আশিকুজ্জামান টুলু, রিদওয়ান নবী পঞ্চম এবং শামীম। ১৯৯০ এর দশকে পঞ্চম, হাসান (সৈয়দ হাসানুর রহমান) এবং আশিকুজ্জামান টুলু নিয়ে আর্ক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এল আর বি, মাইলস, নগর বাউল এর সাথে বাংলাদেশের রক সঙ্গীতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে আর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০০০ সালে হাসান ব্যান্ড ছেড়ে যান এবং পরবর্তীতে ২০০৪ সালে 'জন্মভূমি' নামে নতুন ব্যান্ড গঠন করেন। ২০০৯ সালে আশিকুজ্জামান টুলু ও হাসান আর্কে পুনর্মিলন ঘোষণা করেন। আর্ক'এর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে "সুইটি", "যারে যা", "দূরে বহু দূরে" ইত্যাদি।
আর্ক (বুখারা দুর্গ):
উজবেকিস্তানের বুখারা শহরে অবস্থিত আর্ক একটি বিশাল ঐতিহাসিক দুর্গ। ৫ম শতাব্দীতে এর নির্মাণ শুরু হয়। এটি ছিল একটি সামরিক দুর্গ যা একই সাথে একটি ছোট শহরের মতো ব্যবহার করা হতো। বুখারার বিভিন্ন শাসক এখানে বসবাস করতেন। ১৯২০ সালে রাশিয়ার অধীনে যাওয়ার পূর্বে পর্যন্ত দুর্গটি ব্যবহৃত হত। বর্তমানে এটি একটি পর্যটন আকর্ষণ। দুর্গের আয়তন ৩.৯৬ হেক্টর এবং প্রাচীরের উচ্চতা ১৬ থেকে ২০ মিটার। বুখারা তোরণ দুর্গের অন্যতম প্রবেশপথ। আর্ক দুর্গ নিয়ে কিছু কিংবদন্তীও প্রচলিত আছে।
বাংলাদেশি ব্যান্ড, উজবেকিস্তানের দুর্গ
['আর্ক বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় রক ব্যান্ড', '১৯৯১ সালে আশিকুজ্জামান টুলু প্রতিষ্ঠা করেন', 'হাসান (সৈয়দ হাসানুর রহমান) প্রধান গায়ক ছিলেন', '৯০ দশকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়', 'আর্ক উজবেকিস্তানের একটি ঐতিহাসিক দুর্গ', '৫ম শতাব্দীতে নির্মিত', 'বুখারা শহরে অবস্থিত', 'পর্যটন আকর্ষণ']
আর্ক নামটি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত রক ব্যান্ড এবং উজবেকিস্তানের একটি ঐতিহাসিক দুর্গ উভয়কেই বোঝাতে পারে।
['সর্গম রেকর্ডস', 'সাউন্ডটেক']
['আশিকুজ্জামান টুলু', 'রিদওয়ান নবী পঞ্চম', 'শামীম', 'সৈয়দ হাসানুর রহমান (হাসান)', 'হায়দার হোসেন']
['ঢাকা', 'বুখারা']
['আর্ক', 'বাংলাদেশি রক ব্যান্ড', 'ঐতিহাসিক দুর্গ', 'উজবেকিস্তান', 'বুখারা', 'রক সঙ্গীত', 'সঙ্গীত']