বাংলাদেশের কৃষিতে বোরো আবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি বোরো ধানের উপরই নির্ভরশীল। দেশের মোট ধান উৎপাদনের ৫৮% বোরো মৌসুম থেকে আসে। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বোরো ধানের ফলন হেক্টর প্রতি ১.৫ থেকে ২.০ টন পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। স্বাধীনতার পর খাদ্য ঘাটতি পূরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাৎক্ষণিক আমদানি, উন্নত চাষাবাদ, বীজ, সেচ ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ এবং কৃষি ঋণ মওকুফের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৩ সালের মধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত কৃষি অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের মাধ্যমে বোরো আবাদ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়। সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও উন্নত জাতের ধানের আবিষ্কার বোরো আবাদ ও ফলন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানেও বোরো ধান চাষে কিছু নেতিবাচক ধারণা বিদ্যমান, যেমন অধিক পানি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে ১২০০-১৫০০ লিটার পানিই যথেষ্ট। বোরো চাষে কৃষকদের লোকসান হয় না বরং লাভ হয় এমন তথ্যও গবেষণায় উঠে এসেছে। ২০০১-২০১৯ পর্যন্ত প্রতি বছর হেক্টর প্রতি ৫০২ টাকা লাভ করেছেন কৃষকরা। বোরো আবাদ বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকার বোরো ধানের উন্নত বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ এবং বন্যার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। আগামী মৌসুমে বোরো আবাদ ৫০ হাজার হেক্টর বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বোরো আবাদে সঠিক জাত নির্বাচন, কৃষি তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা এবং রোগবালাই প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ। ব্রি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোরো আবাদ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। শ্রমিক সংকট, মজুরি ও কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলে জলাবদ্ধতার কারণে বোরো আবাদে বিলম্ব হচ্ছে।
বোরো আবাদ
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- বোরো আবাদ দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি
- মোট ধান উৎপাদনের ৫৮% বোরো থেকে আসে
- সঠিক ব্যবস্থাপনায় ফলন বৃদ্ধি সম্ভব
- বঙ্গবন্ধুর কৃষি উন্নয়নের উদ্যোগ
- বোরো আবাদে নেতিবাচক ধারণার ভুল প্রমাণ
- কৃষকদের বোরো চাষে লাভ হয়
- সরকারের বোরো আবাদ বৃদ্ধির উদ্যোগ
- শ্রমিক সংকট ও দাম বৃদ্ধির সমস্যা
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - বোরো আবাদ
১ জানুয়ারী ২০২৫
বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে নলকূপের ট্রান্সফরমার চুরির কারণে।