ফরিদ মিয়া নামে একাধিক ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, দুই ফরিদ মিয়ার কথা বলা হয়েছে। একজন গ্রামীণ যাত্রা দলের অভিনেতা এবং অপরজন একজন চা বিক্রেতা।
যাত্রা অভিনেতা ফরিদ মিয়া:
এই ফরিদ মিয়া ১৯৬৩ সালে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা হরিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন প্রবীণ যাত্রা অভিনেতা ছিলেন। যাত্রা মঞ্চে তিনি রাজা, সেনাপতি, সওদাগর, খলনায়কসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেন। তিনি 'ভাগ্যলিপী অপেরা', 'কোহিনুর অপেরা', 'রূপালী অপেরা', 'আদি বঙ্গ শ্রী অপেরা', 'বলাকা অপেরা'সহ বেশকিছু যাত্রা দলে অভিনয় করেছেন। বর্তমানে যাত্রা শিল্পের অবক্ষয়ের কারণে তিনি বেকার এবং মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বর্তমানে তিনি নরসিংদী শহরের বানিয়াছল মহলায় ভাড়া বাড়ীতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
চা বিক্রেতা ফরিদ মিয়া:
এই ফরিদ মিয়া কিশোরগঞ্জের নিকটবর্তী নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বীরগাঁও চৌরাস্তা বাজার সংলগ্ন কানারা পাড়া এলাকায় ৩৫ ধরণের মশলার মিশ্রণে তৈরি বিশেষ এক ধরণের চা বিক্রি করেন। তিনি চার বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছেন। তার চা 'তুফান চা' নামে পরিচিত। তাঁর চা দোকানের ঠিকানা বারবার বদল হয়েছে। তিনি কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া, মঠখোলা, মনোহরদী, সাগরদী, খিদিরপুর, চালাকচর, নয়াপাড়া, শিবপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত গ্রাহকদের চা বিক্রি করেন।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও ফরিদ মিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদের অবগত করাবে।