নয়াপাড়া নামটি দুটি ভিন্ন স্থান ও প্রেক্ষাপটকে নির্দেশ করতে পারে, যার ফলে কিছুটা দ্ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে, প্রসঙ্গের উপর নির্ভর করে নয়াপাড়ার অর্থ ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
১. কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরটি মায়ানমার থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আশ্রয়স্থল। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি এখানে ভয়াবহ আগুন লাগে, যেখানে ৫৫০টির বেশি আশ্রয়কেন্দ্র, ১৫০টি দোকান এবং একটি কমিউনিটি সেন্টার ধ্বংস হয়। ৩৫০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী গৃহহীন হয় এ আগুনে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, যেমন ইউএন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট এদের সাহায্য করে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এই শিবিরে প্রায় ৩০,০০০ এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৭৭,০০০-এর বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করতো বলে ধারণা করা হয়। ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে শিবিরটিতে ২৩,০৬৫ জনের মতো মানুষ বসবাস করত।
২. বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার একটি ইউনিয়ন: বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার একটি ইউনিয়নও রয়েছে নয়াপাড়া নামে। এই ইউনিয়নের আয়তন ৭৬৪০ একর (৩০.৯২ বর্গ কিলোমিটার) এবং ২০২২ সালে এর জনসংখ্যা ছিল ১০,৯৭৩ জন। জনগোষ্ঠীর বিভাজনে ৬,৫২৭ জন মুসলমান, ৩,৫৪১ জন বৌদ্ধ, ৪৫৬ জন হিন্দু, ৪৩ জন খ্রিস্টান এবং ৪০৬ জন অন্যান্য ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই চৈক্ষ্যং ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়ন গঠন করা হয়। এই ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম জীপগাড়ি এবং আলীকদম-নয়াপাড়া সড়ক। এ ইউনিয়নে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং সাক্ষরতার হার ২৫%। মাতামুহুরী নদী এবং তৈন খাল এই ইউনিয়নের পূর্ব সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত দুটি নয়াপাড়ার মধ্যে কোনটি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তার স্পষ্ট উল্লেখ থাকলে আরো বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা সম্ভব হবে।