ফরিদ আহম্মদের নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই স্পষ্টতার জন্য বিভিন্ন ফরিদ আহম্মদের তথ্য আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলো:
১. ফরিদ আহম্মদ (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা):
এই ফরিদ আহম্মদ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১১তম ব্যাচের সদস্য এবং ১৯৯৩ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তার কর্মজীবনে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব, ক্যান্টনমেন্ট নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক, সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে স্নাতক (সম্মান) এবং ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ ইন এগ্রিকালচার থেকে কীটতত্ত্বে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ (ফাইন্যান্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৬ সালে তিনি জনপ্রশাসন পদকে ভুষিত হন এবং বর্তমানে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার জন্ম নরসিংদী জেলায়।
২. ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী (চিত্রশিল্পী):
এই ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী একজন প্রতিভাধর চিত্রশিল্পী। তিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিত্রকর্মের সাথে জড়িত। উখিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ এবং ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেক চিত্রকর্ম করেছেন। তিনি কোটবাজারে “চৌধুরী আর্ট গ্যালারী” নামে একটি কমার্শিয়াল আর্টের দোকান পরিচালনা করেন। উখিয়া-টেকনাফের প্রায় ১০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম সজ্জিত করেছেন। তার জন্ম ১৯৫৫ সালের ১৪ জুন এবং তিনি ২০১৩ সালের ১৪ জুন ইন্তেকাল করেন।
৩. ফরিদ আহম্মদ (এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা):
এই ফরিদ আহম্মদ এবি ব্যাংকের (ইসলামিক ব্যাংকিং) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি ইসলামী ব্যাংকিংয়ের উপর বক্তব্য দিয়েছেন।
উপরোক্ত তথ্যগুলি বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি আপনার আরও বিস্তারিত তথ্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের জানান।