ফরিদুল আলম: একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
এই নামটি দুটি ভিন্ন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে বলে মনে হয়। প্রথম ব্যক্তি প্যারিসে বসবাসরত একজন অভিবাসী, যিনি রান্নার কাজ করেন এবং ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের কঠিন অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জড়িত ছিলেন। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাচ্ছে নিম্নরূপ:
প্রথম ফরিদুল আলম:
এই ফরিদুল আলম চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গরীব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং লেখাপড়া করার সুযোগ পাননি। ২০০৩ সালে অর্থ উপার্জনের আশায় তিনি আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যান। দুবাইয়ে কাজের অসুবিধার মুখোমুখি হয়ে, ২০১০ সালে তিনি অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তুরস্ক হয়ে গ্রিসে পৌঁছানোর পর শরণার্থী শিবিরে দীর্ঘ সময় কাটান। জার্মানি যাওয়ার চেষ্টা করার সময় তিনি বিভিন্ন দেশে পুলিশের কাছে ধরা পড়েন এবং অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের প্যারিসে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে তিনি প্যারিসের লা-কুন্নভের একটি মেসে রান্নাবান্নার কাজ করেন। তিনি একজন মুসলমান এবং ঈমানদার মানুষ বলে মনে হয়।
দ্বিতীয় ফরিদুল আলম:
এই ফরিদুল আলম কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। ৬ নভেম্বর, ২০২৪ সালে একটি সমাবেশে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং মামলাটি খারিজ হয়েছে। তবে তার বক্তব্যের ভিডিও পরিপ্রেক্ষিতে, আমেরিকার দূতাবাস উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আমাদের কাছে উপলব্ধ তথ্য এই দুই ফরিদুল আলমের সম্পর্কে ই সীমাবদ্ধ। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরও তথ্য প্রাপ্ত হলে এই লেখাটি আপডেট করা যাবে।