নাঈম মোহায়মেন: একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী ও শিক্ষক
নাঈম মোহায়মেন (জন্ম ১৯৬৯) একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা, দৃশ্যশিল্পী এবং শিক্ষক। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ঔপনিবেশিকদের চিহ্নিতকরণ (১৯৪৭ ও ১৯৭১) বিষয়ে গবেষণায় চলচ্চিত্র, স্থাপনা এবং প্রবন্ধ ব্যবহার করেন। ১৯৭০-এর দশকের বিপ্লব তার প্রকল্পগুলিকে বিশ্বব্যাপী সংহতির মধ্যে ভুল স্বীকারোক্তিমূলক ভূমিকা আবিষ্কার করতে সাহায্য করে। তিনি ২০১৪ সালে গ্যাগেনহেম ফেলোশিপ লাভ করেন এবং ২০১৮ সালে টার্নার পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান।
তার চিত্রকর্ম ভেনিস, লাহোর, শারজাহ, মারসেই, মোমেন্টাম (নর্ডিক), লুবেন এবং ইভা (আয়ারল্যান্ড) বাইয়ানিয়ালস, মাহমুদ দরবেশ যাদুঘর, ডকুমেন্টা ১৪, কিরণ নাদার যাদুঘর, নিউ ইয়র্কের আধুনিক চিত্রকলা যাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, ব্রিটিশ যাদুঘর এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শিত হয়েছে। নাঈম ১৯৯৩ সালে অ্যাম্বারলিন কলেজ থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ওই কলেজের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যের সার্টিফিকেট সহ এনথ্রোপোলজিতে পিএইচডি করছেন।
তার রচিত গ্রন্থ 'সঠিক ইতিহাসের কারাগারে বন্দী' উল্লেখযোগ্য। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্ধ স্পট নিয়ে 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ' বইটি সম্পাদনা করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শর্মিলা বসুর 'ডেড রেকনিং' বইয়ের প্রাথমিক সমালোচক ছিলেন এবং বিবিসি ও অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সাপ্তাহিকে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে। নাঈম মোহায়মেন ‘মুক্তির গান’ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন, উল্লেখ করেছেন চলচ্চিত্রটি মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলিকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি তারেক মাসুদ ও ক্যাথেরিন মাসুদের কাজের প্রশংসা করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরেছেন।
নাঈম মোহায়মেনের চারটি ছবির দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনী সম্প্রতি বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজ্যুয়াল আর্টস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তার চলচ্চিত্র ও দৃশ্যশিল্প বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসব ও গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে। তার চলচ্চিত্রগুলো ইতিহাস, রাজনীতি ও সামাজিক বৈষম্যের বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিত।