শারজাহ: সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি অসাধারণ শহর
সংযুক্ত আরব আমিরাতের তৃতীয় বৃহত্তম শহর শারজাহ (আরবি: ٱلشَّارقَة) দুবাই ও আবুধাবীর পরে জনসংখ্যায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। এটি শুধুমাত্র একটি শহর নয়, এটি সংস্কৃতি, ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও আধুনিক উন্নয়নের এক অসাধারণ সমন্বয়। ফার্সি উপসাগরের তীরে অবস্থিত শারজাহ দুবাই-শারজাহ-আজমান মহানগর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমিরাতের রাজধানী হিসেবে শারজাহ ১৮ শতক থেকে আল কাসিমি বংশের শাসনাধীনে রয়েছে।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
৫০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসতি স্থাপিত শারজাহের ইতিহাস সমৃদ্ধ। ১৭২৭ সালে কওয়াসিম গোষ্ঠীর হুয়াইলা উপজাতি শারজাহকে স্বাধীন ঘোষণা করে। ১৮২০ সালের ৮ জানুয়ারি ব্রিটেনের সাথে সাধারণ সমুদ্র চুক্তি স্বাক্ষর করে শারজাহ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি প্রচার শারজাহে প্রবেশ করেছিল। ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠনে শারজাহ অংশগ্রহণ করে।
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র:
শারজাহকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে মনে করা হয়। ২০১৪ সালে এটি ইসলামী সংস্কৃতির রাজধানী এবং ২০০৯ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব গ্রন্থ রাজধানী হিসাবে নির্বাচিত হয়। শারজাহে অসংখ্য জাদুঘর, সুক (বাজার), এবং আধুনিক স্থাপত্য রয়েছে। আল-মাজাজ ওয়াটারফ্রন্ট, আল-হিসন (শারজাহ দুর্গ), শারজাহ সেন্ট্রাল সুক (ব্লু সুক) এর মতো স্থাপনা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
অর্থনীতি:
শারজাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের জিডিপিতে ৭.৪% অবদান রাখে। এখানে শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শারজাহ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (SAIF Zone) এবং শারজাহ শিল্প অঞ্চল অবস্থিত। এছাড়াও, শারজাহের অর্থনীতি পর্যটন, বাণিজ্য ও শিক্ষায় প্রভূতভাবে নির্ভরশীল।
জনসংখ্যা:
২০২২-২৩ সালের হিসাবে শারজাহ শহরের জনসংখ্যা ১৮ লক্ষের বেশি। শারজাহ আমিরাতের মোট জনসংখ্যা ১৮ লক্ষেরও বেশি, যার মধ্যে ২০৮,০০০ ইমিরাতি নাগরিক এবং বাকিরা প্রবাসী।
ভবিষ্যৎ:
শারজাহ নিয়মিত নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিকায়ন ও পর্যটন ক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে। শারজাহ মেট্রো, শারজাহ ট্রাম এর মতো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন চলছে।
keyInformationList: [