গ্রেফতার ও নিষিদ্ধের দাবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এই দাবিতে সরকারের কাছে সোচ্চার হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। তারা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে ইসকনের কর্মী-সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন এবং দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়াও, ভয়েস অব ল'ইয়ার্স অব বাংলাদেশ নামক সংগঠন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত আইনজীবীদের রোড মার্চের পর সংবাদ সম্মেলন করে ইসকন নিষিদ্ধ এবং সাইফুল ইসলাম হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইসকন ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে। তারা সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ ও ইসকনকে দায়ী করেছে এবং সরকারের কাছে দৃঢ় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও একই দাবিতে সরকারের কাছে সোচ্চার হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ইসকন নিষিদ্ধ এবং আইনজীবী সুরক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সমস্ত ঘটনায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই প্রধান দাবিগুলি উঠে এসেছে। তারা ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করার এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। এছাড়াও, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি
  • ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি
  • বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির দাবির সমন্বয়
  • ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি
  • আন্দোলন ও বিক্ষোভের মাধ্যমে দাবি উত্থাপন

গণমাধ্যমে - গ্রেফতার ও নিষিদ্ধের দাবি