গুণীজন

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৩৬ পিএম
নামান্তরে:
Gunijan
গুণীজন

বাংলাদেশের গুণীজনদের সম্মাননায় উৎসর্গীকৃত ‘গুণীজন’ একটি উদ্যোগ। লেখনী, শব্দ, বৈজ্ঞানিক ও শৈল্পিক কাজ, এবং শান্তি, মানবতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য অন্যান্য সৃজনশীল কর্মের মাধ্যমে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এমন ব্যক্তিদের উপস্থাপন করে ‘গুণীজন’। মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, শিক্ষা, আইন, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, সঙ্গীত, চারুকলা, দর্শন, পারফর্মিং আর্টস, গণমাধ্যম, মানবাধিকার, খেলাধুলা এবং আদিবাসী অধিকার – এইসব ক্ষেত্রের গুণীজনদের জীবনী সংরক্ষণ ও প্রচারই ‘গুণীজন’ ট্রাস্টের মূল লক্ষ্য।

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘গুণীজন’ ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘মহিমা তোবো উদ্ভাষিত’ নামে একটি সিডি প্রকাশ করে, যেটি প্রবীণ নারী অধিকার কর্মী হেনা দাস উন্মোচন করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের ও ঔপনিবেশিক বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ব্যক্তিদের জীবনী নিয়ে ‘মহিমা তোবো উদ্ভাষিত: মুক্তিসংগ্রাম’ শীর্ষক আরও দুটি সিডি প্রকাশ করে ‘গুণীজন’। দেশের সর্বত্র ইন্টারনেটের অভাবের কারণে সিডি মাধ্যমে জীবনী প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৬ এবং ২০০৯ সালে ‘গুণীজন’ প্রদর্শনীর আয়োজন করে এবং ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডের বিশেষ উল্লেখ পুরস্কার লাভ করে। ‘গুণীজন’ এর ওয়েবসাইটে গুণীজনদের সম্পূর্ণ জীবনী, নির্বাচিত লেখা, পুরস্কার, ছবি এবং ভিডিও (যেখানে পাওয়া যায়) উপলব্ধ। ‘গুণীজন’ কেবলমাত্র ব্যক্তিদের নয়, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকেও সম্মানিত করে। এই প্রতিষ্ঠান গুণীজনদের জীবনী ও অবদান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • গুণীজন ট্রাস্ট বাংলাদেশের গুণী ব্যক্তিদের জীবনী সংরক্ষণ ও প্রচার করে।
  • ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত, ২০০৮ সালে প্রথম সিডি প্রকাশ করে।
  • মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, শিল্প, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণীজনদের অন্তর্ভুক্ত।
  • সারা দেশে ইন্টারনেটের অভাবের কারণে সিডি মাধ্যমে তথ্য প্রচার।
  • ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - গুণীজন