বিদিত লাল দাস

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বিদিত লাল দাস: সিলেটের লোকসংগীতের অমূল্য সম্পদ

বিদিত লাল দাস (১৫ জুন, ১৯৩৬ – ৮ অক্টোবর, ২০১২), লোকসংগীতের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত, বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট লোকসংগীত শিল্পী, সুরকার, লোকগবেষক ও সংগীত পরিচালক ছিলেন। সিলেটের শেখঘাটের ঐতিহ্যবাহী ‘লাল ব্রাদার্স’ পরিবারে জন্মগ্রহণকারী বিদিত লালের পৈত্রিক সম্পদ ছিলো বিশাল। তার পূর্বপুরুষরা কাশ্মীর থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে অষ্টাদশ শতাব্দীতে সিলেটে আসেন। বঙ্কবাবু নামে পরিচিত তার পিতামহ ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ জমিদার। বিদিত লালের পিতা বিনোদ লাল দাস ছিলেন একজন প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ এবং আসাম কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য। মাতা প্রভা রানী দাস ছিলেন একজন দক্ষ সেতার বাদক।

ছোটবেলায় 'আলু' ও 'পটল' নামে পরিচিত যমজ ভাইয়ের সাথে সিলেটের দি এইডেড হাই স্কুলে পড়াশোনা করার সময় তাদের দুষ্টুমির অজস্র গল্প আজও সিলেটে প্রচলিত। পড়াশোনার জন্যে পরে শিলংয়ের সেন্ট এডমন্ড’স কলেজে ভর্তি হলেও, বাবার অসুস্থতার কারণে তিনি সিলেট ফিরে আসেন। ৭ বছর বয়সে সংগীতের সাথে তার যাত্রা শুরু হয়। তিনি ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ এবং সুরসাগর প্রাণেশ দাশের কাছে উচ্চাঙ্গ ও লোকসংগীতের তালিম নেন।

১৯৬০ এর দশকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে যুক্ত হন। তারপর থেকে তিনি একের পর এক জনপ্রিয় গানে সুরারোপ করেন। হাসন রাজা, রাধারমণ দত্ত, শীতালং ফকির, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ বিখ্যাত কবিদের গানের সাথে তাঁর সুরের অবদান অপরিসীম।

মরিলে কান্দিসনে আমার দায়

সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী

প্রাণ কান্দে মন কান্দে রে

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো

বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি

আমি কেমন করে পত্র লিখি

সিলেট প্রথম আজান

শেষ বিয়ার সানাই

বাউল দেশের মানুষ আমি

এই দেশ এই মাটি

তোমরা দেখরে আইয়া দেখরে চাইয়া

নীলাকাশ চাঁদেরে হারায়ে কাঁদে

আঁধার মনের ভরসা তুমি

আল্লাহ তুমি মেহেরবান

ভাইরে সুবল কইও রাধারে

পঞ্চমির এই পূণ্য প্রভাতে

সোনা দিদি

ভ্রমর কইয়ো গিয়া

প্রেমের মর জলে ডোবেনা

হাসন রাজা বলে ও আল্লা

আমি যাইমু গো যাইমু আল্লারি সঙ্গে

মরণ কথা স্মরণ হইলো না তোর

তুমি রহমতের নদীয়া

প্রেমের মর জলে ডুবে না

মরিলে কান্দিস না আমার দায়

সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী

প্রাণ কান্দে মন কান্দে রে

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো

বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি

আমি কেমন করে পত্র লিখি

সিলেট প্রথম আজান

শেষ বিয়ার সানাই

বাউল দেশের মানুষ আমি

এই দেশ এই মাটি

তোমরা দেখরে আইয়া দেখরে চাইয়া

নীলাকাশ চাঁদেরে হারায়ে কাঁদে

আঁধার মনের ভরসা তুমি

আল্লাহ তুমি মেহেরবান

ভাইরে সুবল কইও রাধারে

পঞ্চমির এই পূণ্য প্রভাতে

সোনা দিদি

ভ্রমর কইয়ো গিয়া

প্রেমের মর জলে ডোবেনা

হাসন রাজা বলে ও আল্লা

আমি যাইমু গো যাইমু আল্লারি সঙ্গে

মরণ কথা স্মরণ হইলো না তোর

তুমি রহমতের নদীয়া

প্রেমের মর জলে ডুবে না

মরিলে কান্দিস না আমার দায়

সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী

প্রাণ কান্দে মন কান্দে রে

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো

বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি

আমি কেমন করে পত্র লিখি

সিলেট প্রথম আজান

শেষ বিয়ার সানাই

বাউল দেশের মানুষ আমি

এই দেশ এই মাটি

তোমরা দেখরে আইয়া দেখরে চাইয়া

নীলাকাশ চাঁদেরে হারায়ে কাঁদে

আঁধার মনের ভরসা তুমি

আল্লাহ তুমি মেহেরবান

ভাইরে সুবল কইও রাধারে

পঞ্চমির এই পূণ্য প্রভাতে

সোনা দিদি

ভ্রমর কইয়ো গিয়া

প্রেমের মর জলে ডোবেনা

হাসন রাজা বলে ও আল্লা

আমি যাইমু গো যাইমু আল্লারি সঙ্গে

মরণ কথা স্মরণ হইলো না তোর

তুমি রহমতের নদীয়া

প্রেমের মর জলে ডুবে না

মরিলে কান্দিস না আমার দায়

সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী

প্রাণ কান্দে মন কান্দে রে

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো

বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি

আমি কেমন করে পত্র লিখি

সিলেট প্রথম আজান

শেষ বিয়ার সানাই

বাউল দেশের মানুষ আমি

এই দেশ এই মাটি

তোমরা দেখরে আইয়া দেখরে চাইয়া

নীলাকাশ চাঁদেরে হারায়ে কাঁদে

আঁধার মনের ভরসা তুমি

আল্লাহ তুমি মেহেরবান

ভাইরে সুবল কইও রাধারে

পঞ্চমির এই পূণ্য প্রভাতে

সোনা দিদি

ভ্রমর কইয়ো গিয়া

প্রেমের মর জলে ডোবেনা

হাসন রাজা বলে ও আল্লা

আমি যাইমু গো যাইমু আল্লারি সঙ্গে

মরণ কথা স্মরণ হইলো না তোর

তুমি রহমতের নদীয়া

প্রেমের মর জলে ডুবে না

মরিলে কান্দিস না আমার দায়

সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী

প্রাণ কান্দে মন কান্দে রে

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো

বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি

আমি কেমন করে পত্র লিখি

সিলেট প্রথম আজান

শেষ বিয়ার সানাই

বাউল দেশের মানুষ আমি

এই দেশ এই মাটি

তোমরা দেখরে আইয়া দেখরে চাইয়া

নীলাকাশ চাঁদেরে হারায়ে কাঁদে

আঁধার মনের ভরসা তুমি

আল্লাহ তুমি মেহেরবান

ভাইরে সুবল কইও রাধারে

পঞ্চমির এই পূণ্য প্রভাতে

সোনা দিদি

ভ্রমর কইয়ো গিয়া

প্রেমের মর জলে ডোবেনা

হাসন রাজা বলে ও আল্লা

আমি যাইমু গো যাইমু আল্লারি সঙ্গে

মরণ কথা স্মরণ হইলো না তোর

তুমি রহমতের নদীয়া

প্রেমের মর জলে ডুবে না

মূল তথ্যাবলী:

  • বিদিত লাল দাস ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট লোকসংগীত শিল্পী।
  • তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় লোকগানের সুরকার ছিলেন।
  • তিনি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ‘লাল ব্রাদার্স’ পরিবারের সদস্য ছিলেন।
  • তার পিতা বিনোদ লাল দাস ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ।
  • বিদিত লাল দাস ৮ অক্টোবর, ২০১২ সালে মারা যান।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বিদিত লাল দাস

21/12/2024

হাছন উৎসবে মরণোত্তর ‘হাছনরত্ন’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।