বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষিপণ্যের অবদান অপরিসীম। দেশের জাতীয় আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। ধান, গম, পাট, আলু, চা, মসলা, ফলমূল, মৎস্য, পশুসম্পদ ইত্যাদি বিভিন্ন কৃষিপণ্য দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও রপ্তানি আয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৫-০৬ সালে কৃষি জিডিপিতে ২৩% অবদান রেখেছে, যার মধ্যে ধান একাই মোট কৃষি উৎপাদনের ৭৫% মূল্য ধারণ করে। উচ্চফলনশীল ধানের জাত প্রবর্তনের ফলে ধানের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, অন্যান্য কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিভিন্ন সমস্যা থাকায় কৃষকদের যথাযথ সহায়তা প্রয়োজন। পাট ও চা রপ্তানির মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা অর্জন করা হয়। মৎস্য ও পশুসম্পদ ও গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্য। সম্প্রতি, কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সরকারি সহায়তায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়াস চলছে। তবে, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই জলবায়ু অনুকূল কৃষি পদ্ধতি ও বৈচিত্র্যময় ফসল চাষের মাধ্যমে দেশের কৃষি খাত কে আরও সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি এবং গবেষণার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। সরকারি প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। সুতরাং, কৃষিপণ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত যা দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।
কৃষিপণ্য
মূল তথ্যাবলী:
- বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষিপণ্যের গুরুত্ব অপরিসীম।
- ধান, গম, পাট, চা, মৎস্য, পশুসম্পদ প্রধান কৃষিপণ্য।
- উচ্চফলনশীল জাতের ফসল উৎপাদনে ধানের উৎপাদন বেড়েছে।
- কৃষিপণ্য রপ্তানি করে বিদেশি মুদ্রা অর্জন।
- জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষিপণ্যে প্রভাব ফেলে।