বিবিএস

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস): দেশের উন্নয়নের চিত্রায়ন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) হলো বাংলাদেশ সরকারের অধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা যা দেশের পরিসংখ্যানগত তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ এবং প্রকাশের দায়িত্ব পালন করে। ১৯৭৪ সালের আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা, নীতি নির্ধারণ এবং গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিবিএস-এর কার্যক্রম:

বিবিএস দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতের তথ্য সংগ্রহ করে। এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে জনসংখ্যা, জন্ম ও মৃত্যুর হার, শ্রমশক্তি, কৃষি উৎপাদন, শিল্প উৎপাদন, বৈদেশিক বাণিজ্য, দারিদ্র্যের হার ইত্যাদি। বিবিএস নিয়মিতভাবে আদমশুমারি, কৃষিশুমারি, শিল্পশুমারি, এবং বিভিন্ন নমুনা জরিপ পরিচালনা করে। এই তথ্য সংগ্রহের জন্য বিবিএস-এর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। বর্তমানে ২৩টি জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় এবং ৪৬০টি থানা/উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রকাশনা:

বিবিএস বিভিন্ন ধরণের পরিসংখ্যানগত প্রকাশনা প্রকাশ করে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে মাসিক বুলেটিন, বার্ষিক প্রকাশনা, আদমশুমারি রিপোর্ট, কৃষিশুমারি রিপোর্ট, শিল্পশুমারি রিপোর্ট ইত্যাদি। এই প্রকাশনাগুলো দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা, গবেষণা, নীতি নির্ধারণ এবং সাধারণ জনগণের কাছে পরিসংখ্যানগত তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি সম্পদ ও ওয়াই টু কে সমস্যা এলাকা চিহ্নিতকরণ জরিপ রিপোর্ট প্রকাশ করে বিবিএস।

গুরুত্ব:

বিবিএস বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। এই সংস্থার তথ্য ও প্রকাশনা দেশের উন্নয়ন, নীতি নির্ধারণ, এবং গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিবিএস-এর কার্যক্রম দেশের অগ্রগতি নিরীক্ষণ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা তৈরির জন্য অপরিহার্য।

মূল তথ্যাবলী:

  • বিবিএস বাংলাদেশের সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা
  • ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • আদমশুমারি, কৃষিশুমারি, শিল্পশুমারি পরিচালনা করে
  • বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত প্রকাশনা প্রকাশ করে
  • দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে