কাজী মতিন

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:৫০ পিএম

কাজী মতিন নামটি দুই ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত বলে মনে হয়। প্রথম কাজী মতিন হলেন একজন বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক, বামপন্থী রাজনীতিক এবং লেখক যিনি ‘ভাষা মতিন’ নামে সর্বমহলে পরিচিত। দ্বিতীয় কাজী মতিন চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত একজন ব্যক্তি। এই দুই ব্যক্তির জীবনী ও কাজ সম্পূর্ণ আলাদা।

আবদুল মতিন (ভাষা সৈনিক):

আবদুল মতিন (১৯২৬-২০১৪) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক, বামপন্থী রাজনীতিক এবং লেখক। তিনি ১৯২৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার ধুবালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় দার্জিলিংয়ে। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের কনভেনিং কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গঠনে নেতৃত্ব দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি বামপন্থী রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং বিভিন্ন বামপন্থী দলের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি কয়েকটি বই রচনা করেন এবং একুশে পদকসহ বিভিন্ন সম্মাননা লাভ করেন। ২০০৪ সালে তাঁর আত্মজীবনী 'জীবন পথের বাঁকে বাঁকে' প্রকাশিত হয়। ৮ই অক্টোবর ২০১৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

চাঁদপুরের কাজী মতিন:

চাঁদপুরের কাজী মতিন (প্রায় ৪০ বছর বয়সী) মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত একজন ব্যক্তি। তিনি মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বড় ভাই কাজী মিজানুর রহমান মোহনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা। তাদের বিরুদ্ধে নদী থেকে বালু উত্তোলনসহ অন্যান্য অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০শে ডিসেম্বর তাকে চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য না থাকায় , আরও তথ্য পাওয়ার পর আমরা এই নিবন্ধটি আরও সম্পূর্ণ করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • আবদুল মতিন (ভাষা মতিন): ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা
  • আবদুল মতিন: বামপন্থী রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ
  • আবদুল মতিন: একুশে পদক প্রাপ্তি ও বহু গ্রন্থ রচনা
  • চাঁদপুরের কাজী মতিন: অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত
  • চাঁদপুরের কাজী মতিন: ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - কাজী মতিন