কাজী মিজানুর রহমান নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। একজন হলেন একজন চিকিৎসক ও রাজনীতিবিদ, অন্যজন একজন সাহিত্যিক, সম্পাদক ও লেখক।
চিকিৎসক ও রাজনীতিবিদ কাজী মিজানুর রহমান:
ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান একজন চিকিৎসক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি মেঘালয় বিধানসভার রাজাবালা আসনের বর্তমান বিধায়ক। ডাঃ কাজী ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল মেডিসিনের একজন ফেলো এবং ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ ভেলোর থেকে ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্টে ডিসট্যান্স ফেলোশিপ (ডিএফআইডি) প্রাপক। তিনি মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড় জেলায় অবস্থিত রাজাবালায় কাজীর একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল জলিল কাজী যিনি লেঃ পিএ সাংমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তার স্ত্রী সাবিনা কাজী একজন ব্যবসায়ী এবং উচ্চ আসামের স্বনামধন্য সৈয়দ পরিবারের সদস্য। ডাঃ কাজীর এক ছেলে সোহেল কাজী ও এক মেয়ে মিরিন কাজী। ডক্টর কাজী ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকর ইউনিভার্সিটি আগ্রার অধীনে সরোজিনী নাইডু মেডিকেল কলেজ থেকে ২০০৫ সালে ডক্টর অফ মেডিসিন (এমডি) ডিগ্রি নিয়ে স্নাতকোত্তর হন এবং একজন প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার হন। মেঘালয়ের সমভূমি এবং ধুবরি ও নয়াদিল্লিতে তার জমি রয়েছে। তিনি ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০২৩ সালে তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে রাজাবালা আসন থেকে নির্বাচিত হন।
সাহিত্যিক, সম্পাদক ও লেখক মিজানুর রহমান:
মিজানুর রহমান (জন্ম: ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ - মৃত্যু: ২৬ জুন ২০০৬) বাংলাদেশের একজন সাহিত্যিক, সম্পাদক এবং লেখক। তিনি বাংলা ভাষায় প্রকাশিত মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা শীর্ষক সাহিত্য পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে খ্যাত। তিনি ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে বিক্রমপুর পরগণার (অধুনা মুন্সীগঞ্জ জেলা) ইছামতী নদীর তীরে টোল বাসাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা খন্দকার ফজলুর রহমান এবং মা কাজী খুরশিদা খাতুন। তিনি ঝংকার এবং রূপছায়া নামক দুটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তার সম্পাদনা জীবন শুরু হয় ১৯৪৬ সালে। তিনি ১৯৬৩ সালে লুৎফা খানমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে ১৯৬৮ সালে নূরজাহান বেগম বকশীকে বিবাহ করেন। তার সম্পাদনার সাথে জড়িত ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, হবীবুল্লাহ বাহার, শামসুন্নাহার মাহমুদ, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন, আহসান হাবীব, রোকনুজ্জামান খান, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, মোহাম্মদ নাসির আলী, মবিনউদ্দিন আহমদ, আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন, ফয়েজ আহমদ, বদরুল হাসান, আশরাফ সিদ্দিকী, রওশন উজদানী, হাবীবুর রহমান, মুজাফ্ফর আহমদ, আহসানুল হক, মঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ শামসুল হক, সত্যজিৎ রায় সহ আরও অনেকে।