আবু সায়েদ

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:২৭ এএম

আবু সাঈদ (২রা মার্চ ১৯৯৯ - ১৬ জুলাই ২০২৪) ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ও ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সক্রিয়কর্মী। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মকবুল হোসেন এবং মাতার নাম মনোয়ারা বেগম। তিনি ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। তিনি রংপুরের খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন, উভয় পরীক্ষায়ই জিপিএ-৫ লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আবু সাঈদ ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০২৪ সালের ৬ই জুন নতুন কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে, তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। ১৫ই জুলাই তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদ শামসুজ্জোহাকে উল্লেখ করে ন্যায্য দাবিতে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।

১৬ই জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করলেও, আবু সাঈদ অবস্থান থেকে সরেননি। পরবর্তীতে পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর, ২৮শে অক্টোবর ২০২৪, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার সাথে জড়িত দুই শিক্ষক এবং সাত কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। কবি শহীদুল্লাহ ফরাজী আবু সাঈদের স্মরণে ‘বীর আবু সাঈদ’ শীর্ষক কবিতা রচনা করেন, এবং শিক্ষার্থীরা রংপুর পার্ক মোড়ের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’ রাখে। আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা প্রকাশিত হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • আবু সাঈদ ছিলেন ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী।
  • তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
  • ১৬ জুলাই ২০২৪ পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।
  • তার মৃত্যুতে দেশব্যাপী তীব্র নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
  • তাকে কোটা আন্দোলনের একজন শহীদ হিসেবে স্মরণ করা হয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।