হাসিব আল ইসলাম

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৫৮ এএম

হাসিব আল ইসলাম: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিতর্কিত বক্তব্য

হাসিব আল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। তার সম্প্রতি দেওয়া একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিতর্কের জন্ম দেয়। তিনি বলেছিলেন, ‘মেট্রোরেলে আগুন না দিলে কিংবা পুলিশ হত্যা না করা হলে এত সহজে বিপ্লব অর্জন করা যেত না’। এই বক্তব্যকে কেউ কেউ ঢাকার মেট্রো স্টেশনে আগুন দেওয়া এবং পুলিশ হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

পরে হাসিব নিজের বক্তব্য থেকে সরে এসে ব্যাখ্যা দেন যে, সময়ের স্বল্পতার কারণে তিনি তার পুরো বক্তব্য শেষ করতে পারেননি। তিনি বলেন, তার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরা এবং সেগুলো কীভাবে জনগণের প্রতিরোধকে আরও তীব্র করে তুলেছিল। তিনি বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মেট্রোরেলে আগুন দিয়েছিল এবং ছাত্রদের ওপর হামলা করেছিল, আর এই ঘটনা জনগণের মনে ক্ষোভ তৈরি করেছিল, ফলে আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়েছিল। পুলিশ হত্যার ক্ষেত্রেও হাসিব বলেছিলেন, তখনকার পুলিশ প্রশাসন আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল এবং জনতার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

হাসিব আল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি গত ৩ আগস্ট ঘোষিত ১৫৮ বিশিষ্ট সমন্বয়ক টিমের ১৩ নম্বর সদস্য ছিলেন। তিনি ডিবিসি নিউজের টক শো ‘প্রযত্নে বাংলাদেশ’ -এ আলোচক হিসাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যেখানে বিএনপি নেতা নিলোফার চৌধুরী মনিও উপস্থিত ছিলেন। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর, তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি নামে একটি সংগঠনে যুক্ত ছিলেন।

হাসিবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাকে শোকজ করে। এই ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবে হাসিবের বক্তব্যের পূর্ণ সত্যতা এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা অধিক তথ্য প্রাপ্ত হলে আপনাদের নিকট জানিয়ে দেব।

মূল তথ্যাবলী:

  • হাসিব আল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক ছিলেন।
  • তার বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
  • তিনি মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ হত্যার বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন।
  • পরে তিনি সময়ের স্বল্পতার কারণে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
  • তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।