স্থায়ী ক্যাম্পাস

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:১৭ এএম

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস: অগ্রগতি ও প্রতিকূলতা

বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের বিষয়টি বেশ জটিল এবং বিতর্কিত। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রতিষ্ঠার ৭ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হতে হয়। কিন্তু অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই এই সময়সীমা পূরণ করতে পারেনি। ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন) নানা সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে সময় বৃদ্ধি দিয়েছে, তবে অনেক ক্ষেত্রেই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি।

কিছু উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবস্থা:

  • স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও আশা ইউনিভার্সিটি: ইউজিসির কাছে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময়ের আবেদন করেছে। ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ তাদের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন।
  • ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি ও প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউজিসি এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছে।
  • সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: ইউজিসি এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ৩ থেকে ৬ মাস সময় দিয়েছিল। এদের মধ্যে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়েছে, আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজে নিয়োজিত।
  • ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি: এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ৬ মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। তাদের অগ্রগতি ইউজিসি পর্যালোচনা করছে।
  • ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি: গত বছরের জুন থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় আশুলিয়ায় তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
  • মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি: গুলশানে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
  • চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য: উপরোক্ত তথ্য সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়েছে। ক্যাম্পাস স্থানান্তর সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়মিত পরিবর্তনশীল হওয়ায়, ভবিষ্যতে আরও আপডেট তথ্য প্রয়োজন হতে পারে।

স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ব্যর্থ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ৭ বছর সময় দেওয়া হয়।
  • অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই নির্ধারিত সময়সীমা পূরণ করতে পারেনি।
  • ইউজিসি নানা সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে অতিরিক্ত সময় দিয়েছে।
  • স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
  • অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে নিয়োজিত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - স্থায়ী ক্যাম্পাস

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের ওপর সিনেট সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।