সিটি ইউনিভার্সিটি: বাংলাদেশের একটি অগ্রণী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
সিটি ইউনিভার্সিটি ২০০২ সালে ঢাকার বনানীতে যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিকভাবে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্কুল অফ বিজনেস বিভাগ নিয়ে শুরু হলেও, বর্তমানে এটি ৪টি অনুষদ এবং ১০টি বিভাগ নিয়ে বিশাল আকার ধারণ করেছে। ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর, বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির নিকটে একটি আধুনিক ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। তবে বর্তমানে সকল শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়া, খাগান, বিরুলিয়ায় অবস্থিত স্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এই স্থায়ী ক্যাম্পাসটি ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ নামে পরিচিত, যা বিশাল সবুজ গাছপালা ও ঘাসে আবৃত।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, কৃষি, ব্যবসায় প্রশাসন, ইংরেজি এবং আইন। এখানে দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে ডিজিটালাইজড ক্লাসরুম, আধুনিক ল্যাবরেটরি, বৃহৎ গ্রন্থাগার, খেলার মাঠ, ক্যাফেটেরিয়া, এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল।
২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (বাংলাদেশ) এবং বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাভ করে সিটি ইউনিভার্সিটি। ২৩ অক্টোবর ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্থায়ী শংসাপত্র (স্থায়ী সনদ) পেয়েছে। একাডেমিক কাজের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহ-পাঠ্যক্রমিক ও বহির্মুখী ক্রিয়াকলাপের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি জার্নাল প্রকাশ করে: ‘আলোক বিচ্ছুরণ’ এবং ‘আলোকন’। বর্তমানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার এম. লুৎফর রহমান (অব.) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।