বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কল্যাণের জন্য স্থাপিত একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হলো সেনা কল্যাণ সংস্থা (সেনাকল্যাণ)। ১৯৫৩ সালে ‘ফৌজি ফাউন্ডেশন’ নামে যাত্রা শুরু করে, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বর্তমান নামে নামকরণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য গঠিত হলেও, বর্তমানে এটি একটি বৃহৎ ব্যবসায়িক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস:
১৯৫৩ সালে দাতব্য প্রতিষ্ঠান আইন, ১৮৯০ এর অধীনে ‘ফৌজি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি দাতব্য ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধন করা হয়। পাকিস্তান আমলে রংপুরে ফৌজি রাইস মিলস, ঘোড়াশালে ফৌজি চটকল এবং চট্টগ্রামে ফৌজি ফ্লাওয়ার মিলস স্থাপন করে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১ জুলাই ১৯৭২ সালে সেনাকল্যাণ সংস্থায় পরিণত হয়। প্রাথমিকভাবে ২.৫ কোটি টাকা সম্পত্তি নিয়ে যাত্রা শুরু করে, ১৯৭৬ সালে ৯৮.৭ কোটি টাকা সম্পদের মালিকানা অর্জন করে।
ব্যবসায়িক কার্যক্রম:
সেনাকল্যাণ বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি (বাগেরহাট)
- সাভয় আইসক্রিম
- এনার্জি সেভিংস ল্যাম্প
- হাবীব ফ্যান
- সিটিজেন ফ্রিজ
- এলিফ্যান্ট ব্র্যান্ড সিমেন্ট
- সেনা কল্যাণ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (ভ্রমণ সংস্থা)
- তারা আরও বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ধারণ করে।
কল্যাণমূলক কার্যক্রম:
সেনাকল্যাণের প্রধান লক্ষ্য হলো সেনাবাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের কল্যাণের জন্য তহবিল তৈরি এবং বিতরণ। এর অধীনে শিক্ষাবৃত্তি, চিকিৎসা সহায়তা, বয়স্ক ভাতা, দুস্থ ভাতা প্রদান করা হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রাক্তন সেনা সদস্যদের জন্য বিশ্রামাগারও রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি:
বর্তমান চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনী প্রধানগণ সেনাকল্যাণ সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্থান:
রংপুর, ঘোড়াশাল, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট, ঢাকা, মহাখালী, মতিঝিল।
সংক্ষিপ্ত তথ্য:
- সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ও পরিচালিত
- সেনা সদস্যদের কল্যাণে কাজ করে
- বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে
- কল্যাণমূলক কর্মসূচী পরিচালনা করে
- ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত