সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি সিলেট শহরের উত্তর-পূর্বে ৮ কিলোমিটার দূরে বড়শাল এলাকায় অবস্থিত। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম.এ.জি. ওসমানীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। এটি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বেশ কিছু বেসরকারি এয়ারলাইন্স এখান থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ধরণের ফ্লাইট পরিচালনা করে। প্রবাসী বাংলাদেশী এবং বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেটিদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্র। বিমানবন্দরটির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হচ্ছে। এটি বাণিজ্য, পর্যটন ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিমানবন্দরের ইতিহাস:
প্রাথমিকভাবে ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত হলেও, স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে এটির নামকরণ করা হয় জেনারেল এম.এ.জি. ওসমানীর নামানুসারে। এর আগে এটি সিলেট বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল। ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ চলেছে। বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ, টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, এবং নতুন অবকাঠামো উন্নয়ন এর অংশ।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সিলেটের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রবাসীদের বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার সুবিধা এবং পর্যটন খাতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি চা, কৃষিজাত ও অন্যান্য উৎপাদনশীল সামগ্রীর পরিবহন জন্য ও গুরুত্বপূর্ণ। বিমানবন্দরের উন্নয়ন সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়ক হবে।
সাম্প্রতিক উন্নয়ন:
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিমানবন্দরের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। রানওয়ে সম্প্রসারণ, নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন এর মাধ্যমে যাত্রী সাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনা কোম্পানির সহযোগিতায় নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এটি বিমানবন্দরের যাত্রী ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।