রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার সম্প্রতি পোষ্য কোটা নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছেন। তিনি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। রাবি কর্তৃপক্ষ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা ৪% থেকে কমিয়ে ৩% করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সালাহউদ্দিন আম্মার ফেসবুকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কোটা বাতিলের দাবি জানান এবং অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি ফেসবুক লাইভেও এই বিষয়ে আলোচনা করেন।
এই ঘটনার পর রাবি কর্তৃপক্ষ ২০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, সালাহউদ্দিন আম্মারের ফেসবুক বক্তব্যের জন্য রাবি অফিসার সমিতি, সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল সমিতি, এবং সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপাচার্যের কাছে চিঠি দেয়। চিঠিতে দাবি করা হয় যে, সালাহউদ্দিন আম্মার শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেছেন। রাবি অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেছেন, সালাহউদ্দিন আম্মার ফেসবুকে এদের হিজড়া বলে অভিহিত করেছেন।
তবে, সালাহউদ্দিন আম্মার বলেছেন যে তিনি পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বক্তব্য দিয়েছেন এবং যদি কোটা থাকে তাহলে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এটা সংরক্ষণ করা উচিত। তিনি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর পক্ষে বলেছেন কিন্তু মেধার বিরুদ্ধে কোটা সমর্থন করেন না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোটার বিষয়ে একটি পুনর্বিবেচনা কমিটি গঠন করেছে এবং সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব জানিয়েছেন, তিনি চিঠিটি পেয়েছেন এবং রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়েছেন।