পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি চাকরিতে ‘পোষ্য কোটা’ একটি বিতর্কিত বিষয়। এই কোটা ব্যবস্থার অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানরা ভর্তি পরীক্ষায় কম নম্বর পেলেও ভর্তির সুযোগ পায়। এই ব্যবস্থা মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে এবং সমান সুযোগের নীতির পরিপন্থী। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭১ জন অকৃতকার্য প্রার্থী পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও পোষ্য কোটা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ৬০% নারী কোটা, ২০% পোষ্য কোটা এবং ২০% পুরুষ কোটা প্রয়োগ করা হয়। পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে ছাত্র আন্দোলন ও রিট হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পোষ্য কোটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সংবিধানে অনগ্রসরদের জন্য কোটা প্রদানের কথা বলা হলেও, পোষ্য কোটা তা নয়, বরং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের স্বজনপ্রীতির একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এই ব্যবস্থার ফলে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয় এবং অযোগ্যদের সুযোগ দেওয়া হয়। পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল বা যৌক্তিক সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
পোষ্য কোটা
মূল তথ্যাবলী:
- বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি চাকরিতে পোষ্য কোটা বিতর্কিত
- মেধাবীদের বঞ্চনা ও সমান সুযোগের নীতি লঙ্ঘন
- বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অকৃতকার্য প্রার্থীদের পোষ্য কোটায় ভর্তি
- পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন ও রিট
- প্রভাবশালী ব্যক্তিদের স্বজনপ্রীতির একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে পোষ্য কোটা
গণমাধ্যমে - পোষ্য কোটা
রাবি শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রক্ত দিয়ে ব্যানার তৈরি করে মানববন্ধন করেছে।
পোষ্য কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়ে ব্যানার তৈরি করে মানববন্ধন করেছে।