অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম পিয়াস: ফেনীতে প্রাণী নির্যাতনের বিচারের কণ্ঠস্বর
অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম পিয়াস ফেনীতে সংঘটিত একটি নৃশংস প্রাণী নির্যাতনের মামলার সাথে জড়িত। গত ৪ ফেব্রুয়ারী ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি সড়কে দুইটি মা কুকুর ও ৯টি শাবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় এনিমেল এইড ফেনীর পরিচালক এনাম হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সফিকুল ইসলাম পিয়াস এই মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
মামলার প্রধান আসামী জসিম উদ্দিন ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে আদালতে দোষ স্বীকার করেন। ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক অপরাজিতা দাস তাকে সাজার পরিবর্তে শর্ত সাপেক্ষে তিন মাসের প্রবেশন দিয়ে মুক্তি দেন। প্রবেশনকালীন সময়ে জসিম উদ্দিনকে ১৫টি কুকুরকে খাওয়াতে এবং তাদের যত্ন নিতে হবে। এই শর্ত পালনের ছবিসহ প্রতিবেদন পরবর্তীতে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সফিকুল ইসলাম পিয়াসের ভূমিকা: সফিকুল ইসলাম পিয়াস এই মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসাবে বিচার প্রক্রিয়ার সকল দিক তদারকি করেছেন এবং আদালতের কাছে বাদীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তিনি জানান, ফেনীতে এটিই প্রথম প্রাণী নির্যাতনের মামলা ছিল। এই ঘটনা ও আদালতের রায় প্রাণীদের অধিকার সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তদন্ত প্রতিবেদন: এর আগে ৯ জুলাই, ২০২৪ তারিখে পিটিয়ে কুকুর হত্যার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গ্রহণ করা হয়। একই দিন জসিম উদ্দিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলাটি গত ১ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আশেকুর রহমান ফেনী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
প্রাণী কল্যাণ আইন: এই মামলায় প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯ লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। আসামীরা অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ্যে ১১টি কুকুর হত্যা করেছে বলে অভিযোগ।
উপসংহার: অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম পিয়াস ফেনীতে প্রাণী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই মামলাটি প্রাণীদের অধিকার সুরক্ষার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।