সচিবালয় আগুন: একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন
২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত ১টা ৫২ মিনিটে ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগে। এই আগুন ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার পরে নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী, সোহানুর জামান নয়ন, ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান।
কী ঘটেছিল?
আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত নয়, তবে ফায়ার সার্ভিসের অনুমান শর্ট সার্কিট হতে পারে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ৬ থেকে ৯ তলা পর্যন্ত। ফায়ার সার্ভিসের ১৯ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। স্থান স্বল্পতার কারণে ১০ টি ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল জানিয়েছেন। কক্ষগুলো আবদ্ধ ও কাচের দরজা থাকায় পানি ছিটায় সময় লেগেছে। ভবনজুড়ে বিদ্যুতের তারের সংযোগ আগুন ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ বলে জানা যায়।
কোন মন্ত্রণালয়গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
৭ নম্বর ভবনে অবস্থিত ছিল ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
ক্ষয়ক্ষতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ:
আগুনে ভবনের ৬, ৭, ৮ ও ৯ তলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবি উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য:
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী সচিবালয়ের সার্বিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা উত্থাপন করেন।