শাহাদত আলম ঝুনু: একজন আওয়ামী লীগ নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু
বগুড়ার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ শাহাদত আলম ঝুনু'র হঠাৎ মৃত্যু বাংলাদেশে শোকের ছায়া নামিয়ে এনেছে। ২৬ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ছিলেন। তার মৃত্যুর আগে তিনি বগুড়া জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।
মৃত্যুর ঘটনা: ঝুনু কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সময় সিরাজগঞ্জে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পরিবারের সদস্যরা এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেন।
রাজনৈতিক ও পেশাগত জীবন: শাহাদত আলম ঝুনু বহু বছর ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর তিনি অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আইনি জটিলতা: ঝুনুর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত হত্যা ও বিস্ফোরক সংক্রান্ত মামলা ছিল। গত ২৫ আগস্ট তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
মৃত্যুর পর প্রতিক্রিয়া: ঝুনুর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। কিছু মহল মৃত্যুর ঘটনাকে রহস্যজনক বলে উল্লেখ করেছে। তবে বর্তমানে আরও তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে আরও তথ্য পাওয়ার পর এই লেখাটি আরও সমৃদ্ধ করা যাবে।